মোঃমাসুদ আলী (পুলক)ব্যুরো রাজশাহী ঃ-
রাজশাহী,পবা-থানা, ৮নং বড়গাছি ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ৩নং-ওয়ার্ড, মাধাইপাড়া গ্রামে জোরপূর্বক ফসলি জমি এবং সরকারি খাল দখল করে পুকুর খনন করেছে গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগে’র সম্মিলিত সিদ্ধান্তে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পবা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইমদাদ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার নেতা সরকারি খাল ও সরকারি খাস জমি এবং জোরপূর্বক ফসিল জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করে। মৌজাঃ মাধাইপাড়া, জে,এল নং-১১৮। সরকারিভাবে পুকুর খনন নিষিদ্ধ থাকলেও তা অমান্য করে পুকুর খনন করে ইমদাদ। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন এবং সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে পুকুর এর মধ্যে। আগে খড়া মৌসুমে খালের পানি দিয়ে চাষাবাদ হতো এখন তা পুকুরে রূপান্তরিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েন সাধারন কৃষক
গত ২১/৪/২০২০ইং সরকারি খাল দখল এর বিষয়ে পবা-থানা, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফাকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী ভূমি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
পবা উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) আবুল হায়াতের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সার্ভিয়ার নাজমুল হাসানসহ আরো ৫ জন সরেজমিনে সার্ভিয়ার নাজমুল পুকুরের পার্শ্বে সরকারি যে খাল ছিলো মেপে দেখেছেন কথাও খাল দখল হয়েছে ৩০ফিট কথাও ২০ ফিট কথাও ১৫ ফিট কোথাও বা ১০ ফিট, ঘটনাস্থলে ভেকুর ড্রাইভার সহ যারা পুকুর খননে যুক্ত ছিলো তারা পালিয়ে যায়। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবুল হায়াত সহ ভূমি অফিসের উপস্থিত সকলেই ভেকুর ২ টুইটি ব্যাটারী জব্দ করে নিয়ে যায় এলাকাবাসী ও সাংবাদিক সকলের উপস্থিতিতে।
উপস্থিত এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের কাছে এসিল্যান্ড আবুল হায়াত বলেন এ খাল দখল মুক্ত করা হবে অন্যথায় মামলার দায়ের করা হবে।
দুঃখের বিষয় প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও খাল দখল মুক্ত বা মামলা কোন কিছুই হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল আক্তার কে অবহিত করলে তিনি জানান যদি কেউ সরকারি খাল দখল করে রাখে তা হলে দখল মুক্ত করা হবে অন্যথায় মামলা দায়ের করা হবে। আজ ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারি খাল দখল মুক্ত না হওয়ায়
জনমনে প্রশ্নের সঞ্চার সৃষ্টি হতে থাকে,এবং বলে আইনের প্রশাসন অন্যায় কারীর পক্ষে গরিব দুঃখী অসহায়ের পক্ষে কেউ নেই ফলে আইনের প্রতি অনাস্থার সৃষ্টি হতে থাকে।
একদিকে জোর করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে অন্যদিকে সরকারি খাল দখল করে পুকুর মধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে। এলাকাবাসী অত্যান্ত মর্মাহত, দূশচিন্তাগ্রস্ত সরকারি খাল পুকুরের মধ্যে পড়ায় পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্তা নেই বর্ষাকালে ক্ষেত-খামার, একমাএ অর্থ উপার্জনকারী ফসল পান বরজ পানিতে ডুবে যাওয়া কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যায়। প্রায় ৯০% কৃষক বিভিন্ন এনজিও থেকে রিন নিয়ে পান বরজ, ধান ভুট্টা করে কিন্তু সরকারি খাল দখল করায় পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হয়ে সবকিছু ডুবে যায় ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অসহায় হয়ে পড়ে। এই নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের জন্ম নিতে শুরু হয়েছে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা হারিয়ে যাচ্ছে।
সে সময়, পবা উপজেলা বহিস্কিত যুবলীগ সভাপতি ইমদাদুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বলেন রাজশাহীর সকল স্তরের প্রশাসন আমার কেনা সত্যিকার অর্থে সেটাই আস্তে আস্তে প্রমাণিত হচ্ছে। খাল দখলের কারণে গ্রামে একদিকে জলাবদ্ধতার আতংক সৃষ্টি হচ্ছে জনমনে, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। অভিযোগ উঠেছে সরকারি আইন অমান্য করে পুকুর খননে সাহস জোগাচ্ছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকারি খাল দখল করে পুকুর খনন করছে ভূমিদস্যু ফলে কমে যাচ্ছে আবাদি কৃষি জমি অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকেরা।
Leave a Reply