রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যশোরের কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে ইতিমধ্যে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
কে হচ্ছেন পৌরপিতা এটা নির্ধারণে নৌকা ও ধানের শীষ প্রার্থীর মধ্যেই হবে তুমুল লড়াই।
সিইসি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী রোববার ২৮ ফেব্রয়ারি ৫ম ধাপের আওতায় সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ভোট প্রহন।
আচারন বিধি অনুযায়ী ইতিমধ্যে শুক্রবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে প্রার্থীদের সকল ধরনের প্রচার-প্রচারনা।
দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্নভাবে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারনা।
সরেজমিনে কেশবপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারন ভেটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিবেশ ভালো থাকলে তারা ভোট দিতে আগ্রহী।
পর্যবেক্ষণে জানাগেছে, কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে মুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াই হবে।
অপর দিকে ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় লড়বেন, আবদুল কাদের।
তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে।
কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আব্দুস সামাদ বিশ্বাস ও আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আছেন মোঃ রফিকুল ইসলাম মোড়ল।
কেশবপুর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকতা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার বজলুর রশীদ সূত্রে জানা গেছে রোববার ২৮ ফেব্রয়ারি কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রসহ ৩ পদে আওয়ামীলীগ-বিএনপির নারী-পুরুষ সহ মোট ৫৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কেশবপুর পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা-২০ হাজার ৭শ ৭৫ । এর মধ্যে নারী ভোটার ১০ হাজার ৫শ ৬৭ ও পুরুষ ভোটার ১০হাজার ২০৮।
১০টি ভোট কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।
কেশবপুর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী অফিসার এম.এম আরাফাত হোসেন জানান, পৌরসভা নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোট হবে। নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে প্রতিটিা কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ এবং ৮ জন আনসার ও তাৎক্ষনিক বিচারের জন্য ১ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিক থাকবে।
এছাড়া নির্বাচনী মাঠে পুলিশের স্টাফ ফোর্স, র্যাব ও বিজিবির ২টি করে টিমসহ সাদা পেশাকে প্রশাসনের বিভিন্ন টিম কাজ করবে।
Leave a Reply