রামু প্রতিনিধিঃ রামু চৌমুহনী স্টেশনে ব্যাপক হারে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় অসস্থিবোধ ও চরম উৎকন্ঠায় রয়েছে স্থানীয় জনসাধারন। অস্বাভাবিক হারে কুকুরের বংশ বিস্তার ও উৎপাত বৃদ্ধি পেলেও বন্ধ রয়েছে কুকুর নিধন অভিযান। বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রামু চৌমুহনী স্টেশন ও পার্শ্ববর্তি এলাকার মানুষ।এসব কুকুর সর্বদা চৌমুহনী স্টেশনে দলবেধে বিচরন করায় সাধারন লোকজন সার্বক্ষনিক কুকুরের কামড়াতংকে ভুগছে। অনেক সময় পথচারীরা এসব কুকুরের কামড়ের শিকার হচ্ছে। শিশু থেকে শুরু করে বুড়ো পর্যন্ত সবাই আক্রমণের শিকার হয়। কুকুরের উপদ্রব এতই বেড়েছে যে কোমলমতি শিশুরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকে। তাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে অভিবাবকরাও খাকে চরম উৎকন্ঠায়।রামু চৌমুহনী স্টেশনে,স্বপ্নপূরী রাস্তার মাথা,মন্ডল পাড়া,বড়ুয়া পাড়া,রামু চৌমুহনী বাজার,ফকিরা বাজার মূলত এসব স্থানে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বেশি চোখে পড়ে।অতিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চৌমুহনীতে কুকুর নিধন অভিযান পরিচালনা করা হত। মাঝ পথে দীর্ঘ বছর এ অভিযান বন্ধ থাকায় কুকুরের বংশ বিস্তার ও উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান রামুর সচেতন মহল।সাতঘরিয়া পাড়ার বাসিন্দা ওবাইদুল হক জানান, প্রশাসন সময় মতো কুকুর নিধন না করায় বর্তমানে রামুতে কুকুরে উপদ্রব বেড়েছে। তিনি বলেন, কুকুরের উপদ্রবে চৌমুহনী স্টেশনে চলাফেরা করতে চরম উৎকন্ঠায় থাকতে হয়। রাতের বেলা কুকুরের দল কাউকে একা পেলে তার উপর আক্রমন করার চেষ্টা করে। অনেক সময় কুকুর যানবাহনের যাত্রীদের লাফিয়ে কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে।হাইটুপির বাসিন্দা ব্যবসায়ী প্রকাশ রুপন বড়য়া জানান, ভোরে কুকুরের উপদ্রবে বাসাবাড়ির ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুল, কোচিংসহ চলাচলে চরম সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কুকুর কোন সময় কাকে কামড় দেয় সেই আতংকে থাকতে হয় সকলকে । এব্যাপারে রামু চৌমুহনী ও পার্শ্ববর্তি এলাকার জনসাধারন অবিলম্বে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে কার্যকরী অভিযান পরিচালনায় রামু প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।এ প্রসঙ্গে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান ‘কুকুরের কামড়ে মরণব্যাধি জলাতঙ্ক রোগ হয়। যার চিকিৎসা ব্যয়বহুল। কুকুরের কামড়ে ভ্যাকসিন না নিয়ে অপচিকিৎসা করলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই কুকুরের কামড়ের শিকার হলে দ্রুত ভ্যাকসিন গ্রহন করা আবশ্যক।রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা জানান, এটা প্রাণী সম্পদ বিভাগের বিষয়। কুকুর নিধন যেহেতু একটা মানবতাবিরোধী কাজ,তাই নিধন না করে নিয়ন্ত্রন করার দিকে আমাদেরকে জোর দিতে হবে। জনস্বার্থে কুকুর নিয়ন্ত্রনে কি কি পন্থা অবলম্বন করা যায় তা দেখবেন বলে জানান।
Leave a Reply