বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের শিমুল হত্যাকাণ্ডের মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িত আসামী চেয়ারম্যানকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মহিদুলের স্ত্রী চামেলী খাতুন। গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার রাত ৮টার সময় গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ইউনিয়ন, মহিমাগঞ্জ রোডস্থ থানা চারমাথায় হক ম্যানশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিহার ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী।
তিনি বলেন, আমার স্বামী ৭ নম্বর বিহার ইউনিয়নের নৌকা মার্কার নমিনি হিসেবে বিগত নির্বাচনে জয়লাভ করেন। সে মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাফিজার রহমানের ছেলে। বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক, শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি। একটি মহল চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বীত হয়ে তাকে সমাজে ও জনগণের মাঝে হেয় করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পরিকল্পনায় শিমুল হত্যাকাণ্ডের মামলায় জড়িয়েছে। আমার স্বামী নির্দোষ।
তিনি আরো বলেন, বিগত ৯ দিন যাবত আমার স্বামী জ্বরে ভূগছিল। জ্বর ভাল না হওয়ায় আমরা বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে যোগাযোগ করি। সেখান থেকে গত ২১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় নমুনা সংগ্রহে একটি টিম আসে এবং তারা নমুনা নিয়ে ফিরে যান। এর পরপরই আমার স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আমরা দ্রুত তাকে বগুড়া ডক্টরস ক্লিনিকে দিনের ১২টার দিকে ভর্তি করাই। সেখান থেকে ডাক্তারের পরামর্শে রাত ১০টার দিকে রেফার্ড নিয়ে রাতেই শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটে ভর্তি করাই। বর্তমানে আমার স্বামী কোভিড-১৯ পজেটিভ।
এ অবস্থায় আমার স্বামী শিমুল হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে না। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাকে স্থানীয় রাজনৈতিক মার-প্যাচে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। চেয়ারম্যানের স্ত্রী চামেলী বেগম শিমুল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সেই সাথে নিরাপরাধীদের হয়রানি না করার জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। উল্লেখ্য, সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলপুকুরিয়া বাজার সংলগ্ন আলীপুর রাস্তার পাশ থেকে বস্তাবন্দী শিমুলের লাশ উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত শিমুল শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রায়হানের ভাই ও আফজালের ছেলে। এ ঘটনায় বিহার ইউপি চেয়ারম্যানকে ১ নম্বর আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
Leave a Reply