নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে নির্মাণ শ্রমিক দিনমজুর নেওয়ার সময় যুবলীগ নেতার বাঁধা। এসময় যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগীরা অফিসে থেকে তুলে নিয়ে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে ৪ জন ইমারত শ্রমিককে গুরুতর আহত করেছে। এরসময় রোড দিয়ে পিটিয়ে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতির নাকের হাড় ভেঙে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
(৩০’শে সেপ্টেম্বর ২০২৩) শনিবার সকালে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন শ্রীপুর ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হোসেন (৫০), তার ছেলে নাঈম (১৮), আরিফ (২০), শরিফ (২৫)।
অভিযুক্তরা হলেন, শ্রীপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী মুরসালিন মামুন (৩৫), রাজু (৩০)সহ অজ্ঞাত নামা ১৫জন।
শ্রীপুর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হোসেন জানান, বহুতল ভবনের ছাদের ঢালাই দেয়ার জন্য শনিবার সকাল আটটার দিকে আমার ছেলে নাঈমকে দিনমজুর আনতে মাওনা উড়াল সেতুর নিচে পাঠাই।
এসময় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ওতার কয়েকজন সহযোগী দিনমজুর নিতে বাঁধা প্রদান করার কারণ জানতে চাইলে তারা জানায় শনিবার ঢাকার মিটিং-এ শ্রমিক নিতে হবে তাই আজ তোমরা লেবার নিতে পারবে না।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার ছেলে নাঈমকে মারধর শুরু করে। বিষয়টি আমি জানার পরপরই আমার দুই ছেলে আরিফ ও শরিফকে ঘটনাস্থলে পাঠালে এ দুজনকেও যুবলীগ নেতা মুরছালিনের অফিসে তুলে নিয়ে দরজা বন্ধ করে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মুরসালিন মামুন আমাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে আমার নাকের উপরে সজোরে আঘাতে করে আমার নাকের হাড় ভেঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়। এরপর আশপাশের লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
শ্রীপুর ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজু এ ঘটনায় বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় আবুল হোসেনসহ তার তিন ছেলেকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসক আবুল হোসেনকে রেফার্ড করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসক ডাঃ সাবিনা আক্তার বলেন, মারধরের ঘটনায় তিনজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গুরুতর আহত আবুল হোসেনকে রেফার্ড করা হয়েছে।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মুরসালিন মামুন এখানে দুপক্ষের মধ্যেই হাতাহাতি হয়েছে।
শনিবার প্রোগ্রামের লোকজন জরো করছি। শ্রমিক নেয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়েছে। রড দিয়ে পেটানোর বিষয়টি সঠিক নয়। আমি ঢাকা থেকে ফিরে এসে বিষয়টি নিয়ে বসবো।
শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ হবে।
Leave a Reply