শিরোনাম :
ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে হবিগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। প্রাইভেট কারের ড্রাইভিং শিখতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত-৪ গলাচিপা পৌরসভায় পানির হাহাকার, চারটি সাবমারসিবল পাম্পেও কাভার হচ্ছে না চাহিদা কবি আল মাহমুদের সাহিত্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য করার দাবি জানিয়েছে বরিশালের লেখক সমাজ ।। পটুয়াখালীর গলাচিপায় বজ্রপাতে কৃষকের দুইটি গরু মৃত্যু ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা নেই-মেঘনা-তেতুলিয়া নদী গোমস্তাপুরে ৩য় ৪র্থ ও ৫ম বর্ষের বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪ খ্রি এর কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা হবিগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত । ঝিনাইদহে আধুনিক চিকিৎসা সেবা চালুর দাবি, বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনার আহ্বান পটুয়াখালীর গলাচিপায় বৃষ্টি কমে আসলেও কৃষকের মুখে নেই স্বস্তির হাসি

সলঙ্গার বনবাড়িয়া গ্রামের কষ্টে জীবন যাপন করছে রুমা খাতুন

মোঃ শাহাদত হোসেন স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৩৪৬ বার পঠিত

সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা থানার বন বাড়িয়া গ্রামের মৃত মফিজ শেখের ছেলে শাহাদাত হোসেনর স্ত্রী রুমা খাতুনের আহ! কি যন্ত্রণা। এমন করুন অবস্থায়ও তাকে সান্ত্বনা দেওয়ারও যে কেই নেই। শক্তিহীন রুমা খাতুন চিৎকার করে কাঁদিতেও পারে না। দেখে মনে হয় মৃত্যুর প্রহর গুণছে অসহায় রুমা খাতুন। সে এক অসহায় গরিব স্বামীর সাথে সংসার করছে অনেক কষ্টে। সে দুই সন্তানের জননী হঠাৎ করে তার বুকে টিউমার ধরা পড়ে ডক্টর তাকে অপারেশন করতে বলে অবশেষে বুকের যন্ত্রণা সইতে না পেরে ধারদেনা করে অনেক কষ্টের মাঝে অপারেশন হয় রুমা খাতুন। কিন্তু করুণ পরিণতি সে আর পারছেনা অভাব তাকে ঘিরে ধরেছে কিনতে পারছে না ওষুধ। ঠিকমতো খেত পারছে না তিনবেলা। লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তার সন্তানেরা

দূর থেকে কিংবা কাছে গিয়ে দেখলে যে কারোই মন শিহরিত হয়ে উঠবে। যারা সামান্য দুর্বল চিত্তের তাদের চোখ থেকে গড়িয়ে পড়বে জল। তার অভাবের অবস্থা দেখে অনেকেই স্তম্ভিত। জীর্ণশীর্ণ কাপড়ে ঢাকা না জানি শরীরের কি অবস্থা। হয়তো পুরো শরীরটা জুড়েই রয়েছে এরকম অসংখ্য যন্ত্রনাদায়ক ক্ষত। সাধারণ মানুষ যেখানে সামান্য কাটাছেঁড়াতে যন্ত্রনায় কাতর হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় রুমা খাতুন কীভাবে বেঁচে আছেন।

সে অসহায়, ছিন্নমূল, নিরন্ন। তবে সেও তো মানুষ। কিন্তু তার কি কোনো অধিকারও নেই। এভাবেই কি একদিন চলে যাবে ওপারে। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক বছর ধরে এভাবেই তারা তাকে দেখছেন। রোদ-বৃষ্টি, রাত কিংবা দিন তার কাছে সবই সমান। এ যেন মৃত লাশ। লাশের যেমন কোনো অনুভূতি থাকে না। তেমনই তারও কোনো অনুভূতি নেই। অনেকেই অনেকভাবে সহায়তা করে। কিন্তু কেউ কখনো দায়িত্ব নিয়ে তার পাশে দাঁড়ায়নি।তবে কেহ যদি আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করত তাহলে এই পরিবারটি বেঁচে যেত বা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কছে অসহায় অভাবী পরিবারটির সার্বিক দিক দেখে সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারটির এটাই আশা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com