শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভয়াবহ নদী ভাঙন রোধে দ্রুর্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে মানববন্ধন। ধোবাউড়ায় ৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ এক জন গ্রেফতার”” জলঢাকায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সৈয়দ আলীর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় গলাচিপায় মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নির্যাতন, নিন্দার ঝড় চুয়াডাঙ্গা জেলা গড়াইটুপি ইউনিয়নে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সুধী ও অভিভাবক সমাবেশ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে ডিবি ঝিনাইদহে আলোচিত ব্যবসায়ী তোয়াজ উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন, আসামি গ্রেফতার কালীগঞ্জে কলেজ শিবির শাখার উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৪টি সার ডিলারকে জরিমানা! গলাচিপায় লাউগাছের চারা খাওয়া নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ১

সাংবাদিকের স্ত্রীর চিকিৎসায় অবহেলা,নোয়াখালীর আল রাজি প্রাইভেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
  • ১৩৩ বার পঠিত

মো: শহিদুল্লাহ চৌধুরী
স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রাম

নোয়াখালীর আল রাজি হাসপাতালের বিরুদ্ধে জাতীয় দৈনিক মাতূ জগৎ পত্রিকার স্ট্যাফ রিপোর্টার তার স্ত্রীর চিকিৎসায় নানা অভিযোগ
তুলেছেন। স্ত্রীর ভুল চিকিৎসা ও হাসপাতালের নানা অনিয়মের সুনিদিষ্ট চিত্র তুলে ধরে
সিভিল সার্জন সহ বিভিন্ন দপ্তরের বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করেন ঐসাংবাদিক।

শহিদুল্লাহ নামে ঐসাংবাদিক তার সন্তান সম্ভব্য পত্নী রোকেয়া বেগমকে অত্যন্ত মমুর্ষ অবস্থায় ২০ এপ্রিল রাত ২ টা ৩০ মিনিটের সময় নোয়াখালীর মাজদির সদরের আল রাজি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাপাতালে ভর্তির পর ভোর ৬ টার দিকে আল রাজি হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ডা ইয়ামুন সানজিদার তত্ত্বাবধানে অপারেশন শুরু করেন রোকেয়া বেগমের। অপারেশনের ৪ ঘন্টা পর রোকেয়া বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওযার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করার পরে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এবং কতক্ষণ পরে বলেন সন্ধ্যা নাগাদ সময় লাগবে। এরপর সব স্বাভাবিক হয়ে জাবে এই অবস্থায় অতিক্রম করার পর সাংবাদিক পত্নীর অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে ও পুরা শরীর ফুলে যায়, সাংবাদিক শহিদুল্লাহ চৌধুরী বিষয়টি কর্তব্যরতদের অবহিত করলে তারা রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হরিবশন সরকারকে এনে রোকেয়া বেগমের চিকিৎসা ব্যবস্থা দেন। ডাক্তার হরিবশন সরকার রোগীর অবস্থা ও কাগজপত্র দেখে অনেকটা ক্ষু্দ্ধ হয়ে সংশিষ্ট সকলকে বকাবকি করেন। এবং আরও ২দিন রোকেয়া বেগম আল রাজি হাসপাতালে থাকলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ রীতিমতো চিকিৎসার নামে চলান অনিয়ম।

সাংবাদিক শহিদুল্লাহ চৌধুরীর গোপন ক্যামেরায় ধারনকৃত এক ভিডিও চিত্রে দেখা যায় রোকেয়া বেগমের ক্ষতস্থানে ভায়োডিন ছাড়া হেক্সিসল, স্পীট দিয়ে ওয়াশকরার সময় আল রাজি হাসপাতালের একজন পুরুষ ক্লিনার কে দেখা যায়। রোকেয়া বেগম একজন মহিলা হওয়ার পর তার ঐ জায়গায় ড্রেসিং করছেন একজন পুরুষ যা কোন ভাবে মানতে পারেনি সাংবাদিক শহিদুল্লাহ চৌধুরী।

রোকেয়া বেগম আল রাজি হাসপাতালে ভর্তির তৃতীয় দিনেও হাসপাতাল থেকে সেবনের জন্য দেওয়া হয় ফুসিট প্লাস ৪০ নামক ট্যাবলেট। যা অর্ধেক করে দিনে দুই বার সেবনের কথা থাকলেও অর্ধেক সেবনের পর রোকেয়া বেগমের অবস্থা একেবারি মৃত্যুর দিকে ঢেলে পরছে।

রোকেয়া বেগমের সংকক অবস্থা সম্পর্কে সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ডা ইয়ামুন সানজিদাকে অবহিত করলে তিনি ফুসিট প্লাস ৪০ নামক ট্যাবলেট সেবনে বন্ধ রাখতে বলেন।,হাসপাতালের ৪র্থ দিনে রোকেয়া বেগমের রক্তক্ষরণ ও পানি বন্ধ না হলে অত্যন্ত মুমুর্ষ অবস্থায় রোকেয়া বেগমকে ছাড়পত্র দেন আল রাজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বাসায় আনার পর থেকে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে, বাসায় নেওযায় ৫ দিনের মাথায় আবারও রোকেয়া বেপমকে ভর্তি করা হয় নোয়াখালীর আল রাজি হাসপাতালে। ভর্তির পর রোকেয়া বেগমের চিকিৎসার নামে চলে নানা অবহেলা ও অনিয়ম

রোকেয়া বেগমের অবস্থা আরও সংকত পন্ন হলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ কে ডেকে নেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হরিবশন সরকারক। তিনি রোগীর ক্ষতস্থানের ৩ টি সেলাই কেটে বলেন ভিতরে ইনফেকশন হয়েছে রোগীর। তিনি উমান এলভূমিন ২০০ নামে একটি ইনজেকশন ফুস করেন এবং কিছু মেডিসিন লিখে চলে যান। এরপর থেকে রোকেয়া বেগমের অবস্থা ক্রমেই খরাপের দিকে যেতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে শহিদুল চৌধুরী হাসপাতাল কতৃপক্ষকে অবহিতন করলে তারা রোকেয়া বেগমকে বাসায় নিয়ে যেতে বলেন।

এদিকে সাংবাদিক শহিদুল্লাহ চৌধুরী তার পত্নীকে ভুল চিকিৎসা ও হাসপাতালের নানা অনিয়ম নিয়ে মাইজদি সুধারাম মডেল থানায় ডাক্তার ইয়ামুন সানজিদাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন,এবং নোয়াখালীর সিভিল সার্জন কায্যালয়সহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক শহিদুল্লাহ চৌধুরী।

ড্রেসিং ইনফেকশন ও চিকিৎসায় অনিয়ম বিষয়ে আল রাজি হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনিও বলেন, চিকিৎসায় কোন সমস্যা হলে তার সমস্ত দায়ভার সার্জারী ডাক্তারের,আয়াকে দিয়ে ড্রেসিং’র বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সৎ উত্তর দিতে পারেননি।

অপরদিকে আল রাজি হাসপাতালের পরিচালক মিঠু সাংবাদিক পত্নীর ভুল চিকিৎসার সমস্ত বিষয় মিথ্যা ও বানোয়াট বলে সমস্ত দোষ সাংবাদিক শহিদুল্লাহ চৌধুরীকে।

রোকেয়া বেগমের ক্ষতস্থানে ভায়োডিন ছাড়া হেক্সিসল, স্পিট দিয়ে ওয়াশ করা নিয়ে আল রাজি হাসপাতালের অপর পরিচালক মহিউদ্দিন ও সুপারভাইজার হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার অভিযোগ স্বীকার করে সাথে সাথে ভুল হয়েছে। বিষয়টি কিভাবে সমাধান করা যায় বলে জানান তিনি।

এদিকে সাংবাদিক পত্নীর ভুল চিকিৎসা ও ইনফেকশন নিয়ে আল রাজি হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ডা ইয়ামুন সানজিদার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করে নাই।

পর্ব ১

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com