সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত ১৪/০৬/২০২০ইং রোববার দিবাগত রাতে হলদিয়া পালং ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের মৃত ফজুলল হক এর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আবাসিক হোটেলের পতিতার দালাল, CNG ড্রাইভার আমিনুল হক ও তার ভাই শাহাব উদ্দিন ড্রাইভার, হামিদুল হক ড্রাইভার এবং শাকু কর্তৃক যোগসাজসে রাতের আঁধারে সাংবাদিক ইয়াকিন এর বসত ভিটাই অনধীকার প্রবেশ করে প্রায় শতাধীক গাছের একট বাগান কর্তন করেন। পর দিন ১৫/০৬/২০২০ ইং সোমবার পূনঃ সাংবাদিক ইয়াকিন এর পিতা ছৈয়দ হোছন ও চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আমিন ও মাহমুদুল হক এর উপর আকষ্মিক নৃশঙ্খ হামলা চালাই আমিন বাহীনির আমিন সহ অন্য আসামীরা। ঘটনার একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়।
উক্ত সন্ত্রাসী হামলার দায়ে গত ১৬/০৬/২০২০ ইং মঙ্গলবার সাংবাদিক ইয়াকিন বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সিএনজি আমিন ও তার ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাব উদ্দিন, শাকু, ও হামিদুল হককে আসামী করে উখিয়া থানার মামলা নং-১২/২০২০ দায়ের করেন।যার ধারা ছিলো ১৪৩/৩৪১/৩৪২/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ দঃবিঃ।
মামলা দায়েরের পর আসামী আমিন ও অপরাপর আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে জামিন চাইলে, বিজ্ঞ আদালত আসামীদেরকে এম.সি/জখমীর মেডিকের সার্টিফিকেট দাখিল করা পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে মামলার তদন্তকারী অফিসার মামলাটির সুষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও ৩জন ডাক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড এর দেওয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট্ পর্যালোচনা করে আসামীদের বিরুদ্ধে ৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬ পেনাল কোড এর সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে সার্জসিট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন। অদ্য ২৮/০২/২০২১ইং রোববার সার্জসিট দাখিল এর পর ১’ম শুনানীর তারিখ ধার্য ছিলো। ধার্য তারিখে আসামীরা জামিন এর জন্য বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-০৩ এ আবেদন করলে বিজ্ঞ হুজুর আদালত বাদীর পিতার জখমী মেডিকেল সার্টিফিকেট পর্যালোচনা ও মামলার সিএস পর্যালোচনা করে মামলার মোট ৪ জন আসামী হতে ১নং আসামী আমিনুল হক, ৩নং আসামী শাহাব উদ্দিন ও ৪নং আসামী শাকুকে জামিন মঞ্জুর না করে জেল হাজতে প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। অপর এক আসামী হামিদুল হক এর জামিন মজ্ঞুর করেন ।
উল্লেখ্য যে, উক্ত নৃশংস হামলার ২ দিন পর আসামীদের ভাবি জনৈক নুর নাহার নামক এক মহিলাকে দিয়ে সাংবাদিক ইয়াকিন সহ তার আহত বাবা ও আহত দুই চাচাতো ভাই আমিনুল হক মাহমুদুল এর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা কাউন্টার মামলা উখিয়া থানায় দায়ের করেন। যার ধারা ছিলো- ১৪৩/৪৪৭/৩৮৫/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৪২৭/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ দঃবিঃ।
কিন্ত উক্ত কাউন্টার মামলাটিও তদন্তকারি অফিসার সুষ্ট ও পেশাদারীত্বের সাথে তদন্ত করে ৪৪৭/৩২৩/৩৫৪/৪২৭/৫০৬ ধারার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং অপর ধারা গুলোর্ সত্যতা পাওয়া যায় নি মর্মে বিজ্ঞ আদালতে সার্জসিট দাখিল করেন। উক্ত মামলার ধার্য্য তারিখও ছিলো আজ। মামলাটির প্রধান ধারা গুলো মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার মহামান্য আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে সাংবাদিক ইয়াকিন সহ অপর ৩ জন এর জামিন বর্ধিত করেন।
উক্ত বিষয়ে সাংবাদিক মোহাম্মদ ইয়াকিন এর নিকট থেকে জানতে চাইলে তিনি, ক্রাইম নিউজ টিভি ২৪কে বলেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছি আমি। অথচ হামলার স্বীকার হয়েছে আমার বাবা ও চাচাতো ভাইয়েরা। কিন্তু তবুও আমি সত্যের পক্ষে লড়ে যাবো। মহামান্য আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ঠ। সত্যের সাথে দেশের প্রচলিত আইন মেনে আরো সামনে আগোতে চাই।তিনি সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।
Leave a Reply