শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভয়াবহ নদী ভাঙন রোধে দ্রুর্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে মানববন্ধন। ধোবাউড়ায় ৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ এক জন গ্রেফতার”” জলঢাকায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সৈয়দ আলীর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় গলাচিপায় মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নির্যাতন, নিন্দার ঝড় চুয়াডাঙ্গা জেলা গড়াইটুপি ইউনিয়নে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সুধী ও অভিভাবক সমাবেশ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে ডিবি ঝিনাইদহে আলোচিত ব্যবসায়ী তোয়াজ উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন, আসামি গ্রেফতার কালীগঞ্জে কলেজ শিবির শাখার উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৪টি সার ডিলারকে জরিমানা! গলাচিপায় লাউগাছের চারা খাওয়া নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ১

সাংবাদিক রবিউল ইসলামের ওপর হামলাকারী মামুন বাহিনীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
  • ৬২ বার পঠিত

সুমন খান:সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত ১৩ মে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সাংবাদিক রবিউলের ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘শ্যামলী অ্যান্ড হানিফ কাউন্টার’-এ হামলা চালায় কথিত বিএনপি নেতা চাঁদাবাজ মামুন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধোকড়াকুল কলেজের অধ্যাপক একরামুল ইসলাম ও মামুনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী দল এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায় এবং ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা অগ্রিম টিকিট বিক্রির টাকা লুট করে নেয়। এর প্রতিবাদে গতকাল মানবাধিকার সংস্থা—বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড প্রেস সোসাইটি আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড প্রেস সোসাইটির চেয়ারম্যান এবং দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আনোয়ার হোসেন আকাশ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা ইঞ্জিনিয়ার হাসান আলী। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উপদেষ্টা, বিশিষ্ট সাংবাদিক মো. আলমগীর গনি।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মো. আবুল বাশার মজুমদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন, দৈনিক বিজয় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. আনোয়ারুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ, দৈনিক আজকালের সংবাদ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এম এম কামাল, দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সরকারি সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সম্রাট, সাপ্তাহিক পল্লী সমাচার পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন তালুকদার, বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম সবুজ, সাংবাদিক এইচ এম হাকিম, সাংবাদিক সবুজ, রেজাউল করিম, এস এম হাকিম এবং ফটোসাংবাদিক বাহাউদ্দিন পায়েল।

বক্তারা বলেন, একজন পেশাদার সাংবাদিকের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা স্বাধীন মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত। তারা মামুন বাহিনীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানান। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

উল্লেখ্য যে, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা রক্ষায় কলম ধরার ‘অপরাধে’ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার এক সাংবাদিক পরিবার। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাবেক মেয়র এবং বিএনপির পরিচয়ধারী সন্ত্রাসী আল মামুন খান ও তার নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনী এ হামলার পেছনে জড়িত। ঘটনার সূত্রপাত ৮ মে, যখন ধোকড়াকুল কলেজে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় এক কলেজছাত্র আহত হয়। এই খবর ১১ মে দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করেন রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি মো. রবিউল ইসলাম। এরপর ১৩ মে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সাংবাদিক রবিউলের ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘শ্যামলী অ্যান্ড হানিফ কাউন্টার’-এ হামলা চালায় মামুনের লোকজন।

প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মাদক ফাঁসানোর চক্রান্ত: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধোকড়াকুল কলেজের অধ্যাপক একরামুল ইসলাম ও মামুনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী দল এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায় এবং ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা অগ্রিম টিকিট বিক্রির টাকা লুট করে নেয়। এরপর তারা পরিকল্পিতভাবে সঙ্গে আনা গাঁজা, ট্যাপেন্টা প্রিন্টারে ও চেম্বারে রেখে সাংবাদিকের ছেলেকে মাদক ব্যবসায়ী সাজাতে চায়। মেহেদী নামের ওই তরুণকে তারা ধরে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি ও শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে মাদক সেবনের দৃশ্য তৈরি করে ভিডিও ধারণ করে। এমনকি ইয়াবা সেবনের পাইপ মুখে দিয়ে, পকেটে মাদক ঢুকিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।

পুরোনো শত্রুতা, চলমান ষড়যন্ত্র: সাংবাদিক রবিউল ইসলাম জানান, এই মামুন চক্র এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অপপ্রচার, প্রাণনাশের হুমকি এবং হয়রানি চালিয়েছে। তিনি এ বিষয়ে থানায় একটি সাইবার ক্রাইম মামলা দায়ের করেছেন। এলাকাবাসী জানায়, মামুনের নির্দেশে তার অনুসারী তথাকথিত সাংবাদিক রুবেল ও মিজান, পতিতা রিপা সবাই মিলে মিথ্যা সাক্ষ্য দিচ্ছে। রিপা নামে এক নারী, যিনি পতিতাবৃত্তি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে, সেও এ ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ অংশ নেয়।

মামুনের ‘হাতিয়ার’ সন্ত্রাসী দ্বীপ, চান্দু ও মিজান: এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে, মামুনের হাতে গড়া সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম তিন সদস্য হলো—দ্বীপ, চান্দু ও মিজান। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। সাধারণ মানুষ, এমনকি মান্যবর ব্যক্তিরাও তাদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।

বিএনপি নেতারাও রেহাই পাননি: রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের বিএনপির ৬ জন সম্মানিত নেতাও সন্ত্রাসী মামুন ও তার বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মামুন তার প্রতিপক্ষ কাউকেই ছাড় দেননি। সবাইকে দমন করতে তার এই বাহিনী ব্যবহার করে আসছেন তিনি।

প্রশাসনের নীরবতা: সাংবাদিক রবিউল ইসলাম হামলার সময় পুঠিয়া থানায় ফোন করলে, ওসি কবির হোসেন ও তদন্ত ওসি কেউই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। প্রশাসনের এই নীরবতায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবি: পুঠিয়ার সচেতন নাগরিক সমাজ ও স্থানীয় জনগণ ঘটনার দ্রুত তদন্ত, দোষীদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তি দাবি করছেন। তারা বলেন, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এবং সমাজকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে এখনই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com