সাভারে উলাইল ময়লারমোড়ে ইউনিক জিপার এন্ড থ্রেড লি: এর এম ডি ফরিদুল আলম ( ৫৫ ) এর কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছে ইউনিক জিপার এর শ্রমিকগণ। প্রতারণার গড ফাদার ফরিদুল আলম ( ৫৫ ) ফরিদপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। তাহার মোবা: নং ০১৭৯০২২৬৩৩০,০১৪০৯৫০৫০৩০ এছাড়াও উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নাম পলাশ ( ৩৬ ) তাহার মোবা: নং ০১৯১৩৭৫৯৭০৬।
ইউনিক থ্রেড লি: এর অফিস স্টাফদের তথ্য অনুসারে জানা যায় যে, প্রতারণার গড ফাদার ফরিদুল আলম সাভারের রাজ ফুলবাড়িয়া বিশ্বাস গ্রুপে এমনকি সাভার নামা গেন্ডা এস এন্ড এ এসে মালিক সেজে শ্রমিকের বেতন না দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। এমনকি সাভারের রেডিও কলোনি, সাভার আশুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হিরাঝিল এলাকায় কিছু ফ্যাক্টরিতে কাজ করিয়ে কাজের মজুরি না দিয়ে ফরিদুল আলম পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে ফ্যাক্টরির মালিকও শ্রমিকগণ।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ফরিদুল আলম লোকের সাথে প্রতারণা করার জন্য ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় তার নামে ব্যাংক একাউন্ট খোলে। যা দিয়ে তিনি ফাঁদ পাতে আর সেই ফাদে ধরা দেয় ভুক্তভোগীরা। যেমন – ১৭/০৯/২০২০ তারিখে সাভার নামা গেন্ডা এস এন্ড এ এর সোসাইটির মালিক মোঃ আশরাফুল ইসলামের ফ্যাক্টরির গ্যাস বিল দেওয়ার জন্য শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকের গুলশান সাউট এভিনিউ শাখায় একটি ৫০ হাজার টাকার একটি চেক দেয় কিন্তু সে একাউন্টে কোনো টাকা ছিলো না। যার ফলে চেকটা ডিজওনার হয়। তারপর থেকে আজ কাল করে এ পর্যন্ত ঘুরিয়ে আসতেছে।
এমনকি মালিক আশরাফুল ইসলাম শ্রমিকের বেতন দেওয়ার কথা ফরিদুল আলমকে জানালে আশরাফুল ইসলামকে বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ইউনিক থ্রেড লি: এর শ্রমিকরা উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে গত ২১/১০/২০২০ তারিখে পুলিশ সুপার ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পুলিশ -০১ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি বলে জানান ভুক্তভোগী শ্রমিকরা। প্রসাশন নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে জানান তারা।
ইউনিক থ্রেড লি: নাম প্রকাশের অনইচ্ছুক কিছু অফিস স্টাফ জানান, প্রতারণার গড ফাদার ফরিদুল আলম অল্প কয়েক দিনে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে ( যেনো আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছে )। তিনি (এলিফেন্ট রোড বাড্ডা সিগন্যাল ) বাড্ডা, মেরুল বাড্ডা মন্দিরের সামনে,রামপুরা টেলিভিশন ভবনের পিছনে, ও তার নিজ এলাকা ফরিদপুরে বিলাস বহুল ৯/১০ তালা কয়েকটি বাড়ি তৈরি করেছে। ইউনিক থ্রেড লি: অফিসের এম ডি ফরিদুল আলম শ্রমিকের টাকা আত্বশ্বাদ করে এই সব বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন অফিস স্টাফদের ধারণা।
তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে,ফরিদুল আলমের সাথে উত্তরা বাড্ডা,রামপুরা কিছু রাজনৈতিক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকের সাথে উঠা-বসা। মানবোধিকার কর্মি ও গণমাধ্যম কর্মিরা ফরিদুল আলমের সাথে শ্রমিকে বেতন নিয়ে কথা বলতে চাইলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তাই ইউনিক থ্রেড লি: এর শ্রমিকরা গণ-উপোরোস্থ্য বিষয়টি তদন্ত করে ফরিদুল আলমকে আইনের আওতায় এনে শ্রমিকের নেয্য পাওয়া যাতে বুঝিয়ে দেয় এমনকি দিতিয়ত্ব কোনো শ্রমিক তার প্রতারণার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন যাতে না করতে হয়। তাহার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে উপরস্থ মহোদয়ের সদয় মর্জি হয়।
Leave a Reply