শিরোনাম :
মনপুরায় জেলেকে নৌকার দাদন টাকা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩ মনপুরায় জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে গরু ঘরে অগ্নিসংযোগ, আতঙ্কে স্থানীয়রা বর্তমান সংকটের সমাধান নবীজির শিক্ষা সম্পাদকীয় আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিনটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্র, অনন্য ও শিক্ষণীয়। এ দিনে জন্ম নেন বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং একই দিনে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন। নবীজির আগমন ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের সূচনা। তাঁর জীবন ও শিক্ষা আজও যুগে যুগে প্রাসঙ্গিক বিশেষ করে আমাদের বর্তমান সময়ে।বাংলাদেশ আজ গভীর অন্ধকারে নিঃশ্বাস ফেলছে। চারপাশে ছড়িয়ে আছে বিভাজন, হানাহানি, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর নৈতিক অবক্ষয়। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের মৌলিক নিরাপত্তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। দোকানের তাক থেকে চাল, ডাল, তেল—প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কৃষক ফসল বিক্রি করতে পারছেন না, শ্রমিক ঘাম ঝরিয়েও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। তরুণ প্রজন্ম কাজের অভাবে হতাশ, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসাত্মক সংকটের মুখোমুখি। এর সঙ্গে জুড়ে গেছে মাদক, অপরাধ ও সহিংসতার প্রলয়।এই সংকটে আমরা ভুলে যাই সেই আলোর পথে, যিনি মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করেছিলেন—রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি এসেছিলেন এমন এক সমাজে, যেখানে গোত্রবিভাজন, মিথ্যা, নারীর অবমাননা, দারিদ্র্য, নিপীড়ন ও সহিংসতা ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। তিনি আমাদের দেখিয়েছিলেন সত্য, ন্যায়, দয়া ও মানবতার পথ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে অন্যের জন্য সবচেয়ে বেশি কল্যাণ বয়ে আনে।” আজকের বাংলাদেশে যদি আমরা তাঁর এই শিক্ষার অনুসরণ করি, তবে সমাজে স্বার্থপরতা, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করা সম্ভব।সাংবাদিকরা যখন সত্য প্রকাশের জন্য নির্যাতনের মুখোমুখি হন, তখন নবীজির শিক্ষা আমাদের শেখায়—সত্যের পথে থাকা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সাহসী হওয়া। তিনি বলেছেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো অন্যায় শাসকের সামনে সত্য কথা বলা।” সাংবাদিকরা দেশের ন্যায়বিচার রক্ষায় যে ভূমিকা রাখেন, তা নবীজির দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই মহৎ।রাজনীতিতেও আমাদের শিক্ষা প্রয়োজন। ক্ষমতার জন্য লড়াই, প্রতিশোধ, হিংসা—এগুলো জাতিকে ক্ষয় করছে। অথচ নবীজি মক্কা বিজয়ের দিন শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন। আজকের নেতারা যদি তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতেন, সংলাপ ও ক্ষমাশীলতার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেত।অর্থনীতি এবং শ্রমিক অধিকারেও নবীজির শিক্ষা অসাধারণ। তিনি বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার মজুরি প্রদান করো।” শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা, কৃষকের ফসলের সঠিক দাম, প্রবাসীর রেমিট্যান্সের মর্যাদা—এসবই নবীজির শিক্ষার বাস্তবায়ন।নবীজির জীবন থেকে আমরা আরও শিখি মানবিক সহমর্মিতা। তিনি শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন, দুর্বলকে রক্ষা করেছিলেন। অথচ আমাদের সমাজে হিংসা, ঘৃণা, বৈষম্য বেড়েছে। দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি বাড়ানো, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা—এসবই নবীজির শিক্ষা অনুযায়ী। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া মানেই শুধু ধর্মীয় আচার পালন নয়; বরং তা সামাজিক ন্যায়বিচার, রাষ্ট্র পরিচালনা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান। বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার যুগে এ শিক্ষা গ্রহণই পারে আমাদেরকে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার পথে এগিয়ে নিতে। আজ, ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই দিনটি কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং আত্মসমালোচনার দিন। যদি আমরা তাঁর জীবন ও শিক্ষাকে না বুঝি, তবে দুর্নীতি, সহিংসতা ও বৈষম্যের অন্ধকার থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আমরা সত্যিই তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করি—রাজনৈতিক নেতৃত্ব, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, সাধারণ মানুষের জীবন সবক্ষেত্রে—তাহলে বাংলাদেশ হতে পারে শান্তি, ন্যায় ও সমৃদ্ধির দেশ। ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের কেবল ঐতিহাসিক স্মরণ নয়, বরং আত্মসমালোচনা ও কর্মপ্রেরণার দিন। নবীজির (সা.) শিক্ষা বাস্তবায়ন করলেই— রাজনৈতিক সংকট কাটবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে, সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস পাবে সুষম বণ্টন ও জাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে সহনশীলতা ও মানবপ্রেমের মাধ্যমে। আজকের আহ্বান: রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে—সংকটমুক্ত জাতি গড়ার একমাত্র পথ তাঁর জীবন ও শিক্ষার অনুসরণ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত— রাজনৈতিক নেতা হোক ক্ষমাশীল ও ন্যায়পরায়ণ, অর্থনীতির নিয়ম হোক ন্যায্য ও বৈষম্যমুক্ত, সাংবাদিক হোক সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ, সাধারণ মানুষ হোক সততা, সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা—এটাই হতে পারে আমাদের দেশের অন্ধকার থেকে মুক্তির একমাত্র আলো। আমরা বিশ্বাস করি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শিক্ষা আজকের পৃথিবীতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত বিশ্ব, বিভক্ত মুসলিম উম্মাহ, দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ ও অস্থির তরুণ প্রজন্ম—সব সমস্যার সমাধান রয়েছে নবীজির দেখানো পথে। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত, ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতি পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা বাস্তবায়ন করা। কেবল তখনই মানবতা সত্যিকারের মুক্তি পাবে।আজকের পৃথিবী যেন নানা সংকটে ঘেরা—যুদ্ধ, দুর্নীতি, বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশ বিপর্যয়, নৈতিক অবক্ষয়—এসব আমাদের সমাজকে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মুসলিম বিশ্বও এ সংকট থেকে মুক্ত নয়। অথচ আমাদের সামনে রয়েছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত—রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা। রাসূলুল্লাহ (সা.) এমন এক যুগে আগমন করেছিলেন, যখন আরব সমাজ ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। গোত্রবাদ, অবিচার, নারী নিপীড়ন, মিথ্যা প্রতিযোগিতা আর সহিংসতায় জর্জরিত ছিল গোটা সমাজ। ঠিক সেখানেই তিনি ন্যায়, সাম্য, দয়া, ভ্রাতৃত্ব আর মানবতার আলো জ্বালিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার আচার-আচরণে উত্তম।” আজকের সমাজে এই বাণীই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। বর্তমান সংকটে আমরা দেখি—ক্ষমত জাতীয়করণের দাবিতে রাজশাহীতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের সমাবেশ খুলনায় সাংবাদিক বুলুর রহস্যজনক মৃত্যুর অধিকতর তদন্তের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন সংবাদদাতা মোঃ রুবেল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাব ও বাংলাদেশ ভূমিহীন গৃহহীন হাউজিং লিঃ উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাঈবালীতা সাগরে ভাসতে থাকা অজ্ঞাত ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার উলিপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে সফল ওসি জিল্লুর রহমান। যশোরে সিআইডির ওপর হামলা গ্রেফতার ২, প্রধান আসামি তুষার এখনো পলাতক

সিএনজি চালক থেকে টোকেন বানিজ্যে মাসুক এখন লাখপতি, সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ৭২১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- সিলেটে ট্রাফিক পুলিশের রেকার চালক পরিচয়ে অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় টোকন বাণিজ্য করে সিএনজি চালক থেকে টোকনের বরকতে রাতারাতি লাখ লাখ টাকার মালিক এখন মাসুক ওরফে টোকন মাসুক। গত সোমবার (১১ই এপ্রিল) দৈনিক সোনালী সিলেট পত্রিকা ও দৈনিক সিলেট এক্সপ্রেস পত্রিকার সংখ্যায় “সিলেটে রেকার চালক পরিচয়ে টোকন মাসুকের বেপরোয়া চাঁদাবাজি” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রকাশ্যে টোকন মাসুক বিভিন্ন ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিবেদকে একের পর এক দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেই যাচ্ছে। তাহলে এখানে প্রশ্ন থেকে যায় একজন চাঁদাবাজের এতো সাহস কিভাবে হয়? তবে কি তার সেই অদৃশ্য শক্তি? যার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ! তাহলে কোথায় তার খুঁটির জোর?

 

জানা গেছে- মাসুক ওরফে টোকন মাসুক কানাইঘাট উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ গ্রামের বাসিন্দা। তবে বর্তমানে সে সিলেট মিরাপাড়া এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা। মাসুক ওরফে টোকন মাসুক মূলত পেশায় একজন সিএনজি চালক । যে কিনা অতীতে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ধরে সিএনজি চালিয়ে তার জীবিকা নির্বাহ করতো সেই আবার মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে টোকন নামের আলাদীনের চেরাগের বরকতে আঙ্গুল ফুঁলে কলাগাছ। এমনকি অবৈধ টোকন বাণিজ্য করে রাতারাতি মাসুক ওরফে টোকন মাসুক এখন বনে গেছে লাখ লাখ টাকার মালিক । তাছাড়া কয়েক বছর আগে মাসুক ওরফে টোকন মাসুক মাদকের একটি মামলায় জেল কেটে জামিনে বেরিয়ে আবারো কয়েক দিন সিএনজি গাড়ি চালাচ্ছিলেন বিগত প্রায় বছর আগে থেকে জড়িত হয়েছে এই অবৈধ টোকন বাণিজ্যে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।

দৈনিক সোনালী সিলেট পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার ও দৈনিক সিলেট এক্সপ্রেস পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ রায়হান হোসেন জানান, গত সোমবার (১১ই এপ্রিল) “সিলেটে রেকার চালক পরিচয়ে টোকন মাসুকের বেপরোয়া চাঁদাবাজি” শিরোনামে একটি সংবাদ দৈনিক সোনালী সিলেট পত্রিকা ও দৈনিক সিলেট এক্সপ্রেস পত্রিকার সংখ্যায় তিনি সরবারহ করেন। আর এই সংবাদটি প্রস্তুতকালে রবিবার (১১ই এপ্রিল) চাঁদাবাজ টোকন মাসুকের বক্তব্যও সংগ্রহ করার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে এক সাংবাদিক যোগাযোগ করে বক্তব্য সংগ্রহ করেন। তার কিছু সময় পর টোকন মাসুক পূনরায় তার ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন দিয়ে সংবাদ না করার জন্য হুমকি প্রদান করে বলে- “তুই কি আমাকে ভালো করে চিনিস, সংবাদ করার আগে তুই আমাকে ভালো করে চিন, না হয় আজ সন্ধ্যার পর তুই আমাকে ভালো করে চিনতে পারবে বলে ফোন রেখে দেয়। কিন্তু তাতেই শেষ নয় এরপর হইতে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে টোকন মাসুক তাকে একের পর এক দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েই যাচ্ছে। এমনকি তার পরিচিত বিভিন্ন লোক জনকে দিয়েও সে তাকে প্রস্তুত থাকার জন্য সংবাদ পাঠাচ্ছে। যার সম্পূর্ন তথ্য প্রমান তার নিকট  সংগ্রহকৃত রয়েছে। তাদের এমন কর্মকান্ডে একজন সংবাদকর্মী হয়েও তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাছাড়া  টোকন মাসুক যেকোন সময় তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালাতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। নিজের নিরাপত্তার জন্য তিনি অবিলম্বে টোকন মাসুক সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বলেও জানান।

সম্প্রতি, নতুন সড়ক পরিবহন আইনের পর চালকরা ভাব ছিলেন মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় টোকেন বিক্রি বন্ধ হবে। সম্প্রতি কয়েকটি অনুষ্টানে সিলেট জেলা পুলিশ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নম্বরবিহীন সিএনজি বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু মাসুক ওরফে টোকন মাসুক তাদের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে সিলেট জেলার কানাইঘাট টু সিলেট সড়কে  ট্রাফিক পুলিশের রেকার চালক পরিচয়ে প্রায় এক হাজার অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় পুলিশ টোকন নামের বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে দেদারছে চালিয়ে করছে অবৈধ রমরমা টোকন বাণিজ্য। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের লোক দেখানো আইওয়াশ অভিযানে দু’চারটি নম্বরবিহীন অটোরিক্সা আটক হলেও অদৃশ্য কারণে অভিযানগুলো থেমে যায়। ফলে এই সড়কে নম্বরবিহীন অটোরিক্সা চলাচলে বাধা থাকে না কোথাও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- মাসুক ওরফে টোকন মাসুক সিলেট ট্রাফিক পুলিশের রেকার চালক পরিচয়ে অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় নিরাপদে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ টোকন বাণিজ্য। কিন্তু সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে ওঠে আসে আসলেই সে  ট্রাফিক পুলিশের রেকার চালক নয়। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্যদের সাথে তার বেশ ভালোই সংখ্যতা রয়েছে সুত্র বলছে। তবে সিলেট ট্রাফিক পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের এই রমরমা টোকন বাণিজ্য চললেও অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে কোন একশন নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যার কারণে দিন দিন আরো বেপরোয়া হারে বেড়েই চলছে মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের এই রমরমা অবৈধ টোকন বাণিজ্য। আর এতে করে সাধারণ জনগণের নিকট ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশেরও। তবুও এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই যেনও ট্রাফিক পুলিশের কারো।

অনুসন্ধান ওঠে আসে- সিলেটের কানাইঘাট, গাছবাড়ি, রাজাগঞ্জ, বাঘা পরগনা, মুরাদপুর, টিলাগড়, শিবগঞ্জ গ্যাস পাম্প ও সিলেট সড়কের টোকেন বাণিজ্যের প্রদান মাসুক ওরফে টোকন মাসুক সহ তার হাতে গড়া টোকন সিন্ডিকেটের বেশ কয়েকজনের নাম। এই সড়কগুলোতে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সার সংখ্যা প্রায় এক হাজারেরও বেশী। আর অবৈধ গাড়িগুলো চলছে মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে। টোকেন বাণিজ্য করে মাসে লাখ লাখ ও বছরে কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে মাসুক ওরফে টোকন মাসুক সহ তার সিন্ডিকেট। মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের অবৈধ এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নিতে সাহস যেন কারই নেই। মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের ইশারায় এই কানাইঘাট-সিলেট সড়কে দীর্ঘদিন দিন থেকে চলছে নম্বরবিহীন অটোরিক্সা। পরিচিতি শুধু টোকেন।

জানা গেছে- এই সড়কগুলোতে রেজিস্টেশনবিহীন অটোরিক্সা চলতে প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সাকে প্রতি মাসে মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের নিকট হইতে কিনতে হয় ৫শ’ থেকে ১৫শ’ টাকার টোকেন। আদায়কৃত এই চাঁদা থেকে নম্বর ও রেজিষ্ট্রেশনবিহীন অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের জন্য বিআরটিএ এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করা হয়ে থাকে বলে বিশ্বস্থ সূত্র তা নিশ্চিত করেছে।

আরো জানা গেছে- কানাইঘাট টু সিলেট সড়কে টোকেন বাণিজ্যের মূলহোতা মাসুক ওরফে টোকন মাসুক ও তার হাতে গড়ে তোলা সিন্ডিকেটের কয়েকজন মিলে তাদের বড় একটি টোকন সিন্ডিকেট। কানাইঘাট উপজেরার সব ক’টি সড়কের নিয়ন্ত্রকরা রেজিস্টেশন বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা (অনটেষ্ট) গাড়িতে টোকেন লাগিয়ে দিলে সেটি চলাচলের জন্য বৈধ হয়ে যায়। সিএনজি অটোরিক্সা তাদের মাধ্যমে চলাচলে প্রথমে এককালীন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার পর মাসুক ওরফে টোকন মাসুক প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সার জন্য একটি টোকেন বরাদ্দ দেয়। এই টোকেন অটোরিক্সার সামনের গ্লাসে লাগিয়ে দিলে গাড়িগুলো সড়কে চলতে আর কোনো অসুবিধা থাকেনা। এই সড়কে এমন অটোরিক্সার সংখ্যা প্রায় এক হাজারের বেশি যা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে- বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে নতুন সিএনজি চালিত অটোরিক্সার নিবন্ধন বন্ধ থাকায় এই সড়কের নম্বরবিহীন অটোরিক্সা চলাচলের জন্য টোকেন বাণিজ্য গড়ে তুলেন টোকন মাসুক ওরফে টোকন মাসুক ও তার বাহিনী। শুধু তাই নয় মাসুক ওরফে টোকন মাসুক দাবী করে সিলেটের প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশের সব সেক্টরে টোকেন বাণিজ্য করে আদায়কৃত টাকার ভাগ দিয়েই টুকেন ব্যবসার অনুমতি নিয়েছে সে ও তার চাদাঁবাজ সিন্ডিকেট। তাই তার দেয়া পরিচিতি টোকেন নিতে পারলেই কানাইঘাট টু সিলেট সড়কে অবৈধ নম্বরবিহীন অটোরিক্সা চলতে বাধা থাকেনা। অন্যথায় কেউ রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা চালাতে পারেবে না বলে জানিয়েছেন চালকরা। তবে, থানা পুলিশের সাথে এব্যাপারে কথা হলে তারা টোকেন বাণিজ্যের বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন।

দেখা যায়- মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের টোকেনের বাস্তব এক অদৃশ্য শক্তি। কানাইঘাট থেকে টিলাগড় পয়েন্ট হয়ে শিবগঞ্জের পাম্পে গ্যাস নিতে আসা কয়েকটি নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সাগুলো টিলাগড় পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সিগনালে পড়ে। কিন্তু অবৈধ গাড়িগুলোর বৈধ কাগজপত্র যাচাই করা তো দুরের কথা চালককে একবার জিজ্ঞাসাও করছেন না পুলিশ সদস্যরা। শুধু সাইড করে যাচাই করা হচ্ছে বৈধ গাড়ির কাগজপত্র। এদিকে অদৃশ্য কারণে ছাড় পাচ্ছে মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের টোকেনেনর গাড়িগুলো। এছাড়াও প্রায় সময়ই মাসুক ওরফে টোকন মাসুককে টিলাগড় পয়েন্টে ডিউটিরত বিভিন্ন ট্রাফিক পুলিশ সঙ্গে আড্ডা দিতে দেখা যায়।

চালকদের অভিযোগ- মাসুক ওরফে টোকন মাসুক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে থেকে চালকরা তার নিকট হইতে টাকার বিনিময়ে টোকন না কিনে টিলাগড় পয়েন্ট হয়ে শিবগঞ্জের গ্যাস পাম্পে গ্যাস নিতে আসলে গাড়ি গুলো অভিযানের নামে ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে আটক করায় মাসুক ওরফে টোকন মাসুক এবং আবার চালকদের নিকট হইতে হাজার দুই হাজার টাকার বিনিময়ে গাড়িগুলো পুলিশের নিকট হইতে ছাড়িয়ে দেয় সে। তবে ওই টাকার অর্ধেক অংশ ট্রাফিক পুলিশের পকেটে ও অর্ধেক অংশ ডুকে মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের পকেটে বলে অভিযোগে প্রকাশ।

এদিকে বৈধ সিএনজি চালক সমিতির নেতৃবৃন্দরা জানান- বিআরটিএ ও প্রসাশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে সক্ষতা থাকায় এই টোকেন বাণিজ্যের হোতা মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের অবৈধ এ বাণিজ্য আজও বন্ধ হচ্ছে না। এই সব রেজিস্ট্রেশন বিহীন (অনটেস্ট) সিএনজি অটোরিক্সার টোকেন ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য করে নিজেরা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

এ ব্যাপারে মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টোকন বাণিজ্যের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন- তিনি ট্রাফিক পুলিশের রেকার চালক নয় তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাহলে টোকন বাণিজ্যে করে আয়কৃত টাকার অংশ কি করেন আর কোথায় কোথায় দেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কৌশলে ফোন রেখে দেন এমনকি পরবর্তীতে কয়েকবার ফোন দিলেও আর রিসিভ করেন নি তিনি।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম পিপিএমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে- তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ। তবে কানাইঘাটে আলাদা ট্রাফিক পুলিশের সেক্টর রয়েছে উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ট্রাফিক পুলিশের কানাইঘাটে দায়িত্বরত সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- তিনি এই স্টেশনে এসেছেন মাত্র দেড় মাস হয়েছে। আর মাসুক নামের কাউকে তিনি চিনেন না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছেন এমনকি প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলেও আশ্বাস প্রদান করেন। কানাইঘাটে অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় টোকন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- কানাইঘাটে অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর আর অভিযান অব্যাহত। এমনকি প্রায় সময় সিলেট জেলা পুলিশের মাননীয় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম মহোদয় সরজমিনে নিজে এই সড়কে চাঁদাবাজির বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। আর স্যারের নির্দেশে এই অভিযান সবসময়ই অব্যাহত আছে।

এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফয়সাল মাহমুদ জানান- এই নামে আমাদের কোন রেকার চালক নেই। আর যদি এরকম কেউ আমাদের পরিচয় দিয়ে সড়কে কোথাও মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কিংবা চাঁদাবাজি করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই থাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তিনি সকলের নিকট আহ্বান জানান। যেহেতু মাসুক ওরফে টোকন মাসুক আপনাদের রেকার চালক পরিচয় দিয়ে অবৈধ কর্মকান্ড হাসিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে সেক্ষেত্রে আপানাদের পক্ষ থেকে কি তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- অবশ্যই, যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে এ ব্যাপারে অবগত হয়েছি তখন অবিলম্বে তার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

বর্তমান সংকটের সমাধান নবীজির শিক্ষা সম্পাদকীয় আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিনটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্র, অনন্য ও শিক্ষণীয়। এ দিনে জন্ম নেন বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং একই দিনে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন। নবীজির আগমন ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের সূচনা। তাঁর জীবন ও শিক্ষা আজও যুগে যুগে প্রাসঙ্গিক বিশেষ করে আমাদের বর্তমান সময়ে।বাংলাদেশ আজ গভীর অন্ধকারে নিঃশ্বাস ফেলছে। চারপাশে ছড়িয়ে আছে বিভাজন, হানাহানি, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর নৈতিক অবক্ষয়। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের মৌলিক নিরাপত্তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। দোকানের তাক থেকে চাল, ডাল, তেল—প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কৃষক ফসল বিক্রি করতে পারছেন না, শ্রমিক ঘাম ঝরিয়েও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। তরুণ প্রজন্ম কাজের অভাবে হতাশ, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসাত্মক সংকটের মুখোমুখি। এর সঙ্গে জুড়ে গেছে মাদক, অপরাধ ও সহিংসতার প্রলয়।এই সংকটে আমরা ভুলে যাই সেই আলোর পথে, যিনি মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করেছিলেন—রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি এসেছিলেন এমন এক সমাজে, যেখানে গোত্রবিভাজন, মিথ্যা, নারীর অবমাননা, দারিদ্র্য, নিপীড়ন ও সহিংসতা ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। তিনি আমাদের দেখিয়েছিলেন সত্য, ন্যায়, দয়া ও মানবতার পথ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে অন্যের জন্য সবচেয়ে বেশি কল্যাণ বয়ে আনে।” আজকের বাংলাদেশে যদি আমরা তাঁর এই শিক্ষার অনুসরণ করি, তবে সমাজে স্বার্থপরতা, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করা সম্ভব।সাংবাদিকরা যখন সত্য প্রকাশের জন্য নির্যাতনের মুখোমুখি হন, তখন নবীজির শিক্ষা আমাদের শেখায়—সত্যের পথে থাকা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সাহসী হওয়া। তিনি বলেছেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো অন্যায় শাসকের সামনে সত্য কথা বলা।” সাংবাদিকরা দেশের ন্যায়বিচার রক্ষায় যে ভূমিকা রাখেন, তা নবীজির দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই মহৎ।রাজনীতিতেও আমাদের শিক্ষা প্রয়োজন। ক্ষমতার জন্য লড়াই, প্রতিশোধ, হিংসা—এগুলো জাতিকে ক্ষয় করছে। অথচ নবীজি মক্কা বিজয়ের দিন শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন। আজকের নেতারা যদি তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতেন, সংলাপ ও ক্ষমাশীলতার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেত।অর্থনীতি এবং শ্রমিক অধিকারেও নবীজির শিক্ষা অসাধারণ। তিনি বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার মজুরি প্রদান করো।” শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা, কৃষকের ফসলের সঠিক দাম, প্রবাসীর রেমিট্যান্সের মর্যাদা—এসবই নবীজির শিক্ষার বাস্তবায়ন।নবীজির জীবন থেকে আমরা আরও শিখি মানবিক সহমর্মিতা। তিনি শত্রুকেও ক্ষমা করেছিলেন, দুর্বলকে রক্ষা করেছিলেন। অথচ আমাদের সমাজে হিংসা, ঘৃণা, বৈষম্য বেড়েছে। দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি বাড়ানো, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা—এসবই নবীজির শিক্ষা অনুযায়ী। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া মানেই শুধু ধর্মীয় আচার পালন নয়; বরং তা সামাজিক ন্যায়বিচার, রাষ্ট্র পরিচালনা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান। বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার যুগে এ শিক্ষা গ্রহণই পারে আমাদেরকে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার পথে এগিয়ে নিতে। আজ, ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই দিনটি কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং আত্মসমালোচনার দিন। যদি আমরা তাঁর জীবন ও শিক্ষাকে না বুঝি, তবে দুর্নীতি, সহিংসতা ও বৈষম্যের অন্ধকার থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আমরা সত্যিই তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করি—রাজনৈতিক নেতৃত্ব, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, সাধারণ মানুষের জীবন সবক্ষেত্রে—তাহলে বাংলাদেশ হতে পারে শান্তি, ন্যায় ও সমৃদ্ধির দেশ। ঈদে মিলাদুন্নবী আমাদের কেবল ঐতিহাসিক স্মরণ নয়, বরং আত্মসমালোচনা ও কর্মপ্রেরণার দিন। নবীজির (সা.) শিক্ষা বাস্তবায়ন করলেই— রাজনৈতিক সংকট কাটবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে, সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস পাবে সুষম বণ্টন ও জাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে সহনশীলতা ও মানবপ্রেমের মাধ্যমে। আজকের আহ্বান: রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে—সংকটমুক্ত জাতি গড়ার একমাত্র পথ তাঁর জীবন ও শিক্ষার অনুসরণ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত— রাজনৈতিক নেতা হোক ক্ষমাশীল ও ন্যায়পরায়ণ, অর্থনীতির নিয়ম হোক ন্যায্য ও বৈষম্যমুক্ত, সাংবাদিক হোক সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ, সাধারণ মানুষ হোক সততা, সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা—এটাই হতে পারে আমাদের দেশের অন্ধকার থেকে মুক্তির একমাত্র আলো। আমরা বিশ্বাস করি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শিক্ষা আজকের পৃথিবীতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত বিশ্ব, বিভক্ত মুসলিম উম্মাহ, দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ ও অস্থির তরুণ প্রজন্ম—সব সমস্যার সমাধান রয়েছে নবীজির দেখানো পথে। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত, ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতি পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা বাস্তবায়ন করা। কেবল তখনই মানবতা সত্যিকারের মুক্তি পাবে।আজকের পৃথিবী যেন নানা সংকটে ঘেরা—যুদ্ধ, দুর্নীতি, বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশ বিপর্যয়, নৈতিক অবক্ষয়—এসব আমাদের সমাজকে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মুসলিম বিশ্বও এ সংকট থেকে মুক্ত নয়। অথচ আমাদের সামনে রয়েছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত—রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা। রাসূলুল্লাহ (সা.) এমন এক যুগে আগমন করেছিলেন, যখন আরব সমাজ ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। গোত্রবাদ, অবিচার, নারী নিপীড়ন, মিথ্যা প্রতিযোগিতা আর সহিংসতায় জর্জরিত ছিল গোটা সমাজ। ঠিক সেখানেই তিনি ন্যায়, সাম্য, দয়া, ভ্রাতৃত্ব আর মানবতার আলো জ্বালিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার আচার-আচরণে উত্তম।” আজকের সমাজে এই বাণীই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। বর্তমান সংকটে আমরা দেখি—ক্ষমত

এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com