মোহাম্মদ সোহেল আরমানঃ স্কাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কক্সবাজার এর মাধ্যমে কক্সবাজার এলাকার সুবিধা বঞ্চিত বেকার যুবকদের দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষন এবং জাতীয় সনদায়ন কার্যক্রম।২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নাই। আর এই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের দক্ষ যুব সমাজ গড়ে ওঠে। তাই কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত দক্ষ কর্মী তৈরি করা হলে শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন অকুপেশনে দক্ষ জনশক্তি পেয়ে থাকে এবং শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। সর্বোপরি দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পায়। এই কার্যক্রমে স্কাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কক্সবাজার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রচার, প্রসার, উদ্বুদ্ধকরণ এবং বাস্তবয়নে সব সময় অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছে।আমরা জানি জেলা প্রশাসন কক্সবাজার, ইউএনডিপি এবং এটুআই এর সহযোগিতায় Project: Community Cohesion in Cox’s Bazar এর অধীনে গত ৮ নভেম্বর ২০২০ থেকে জানুয়ারী ২০২১ পর্যন্ত চার মাস মেয়াদী (৩৬০ ঘন্টা, এনটিভিকিউএফ লেভেল-১) বিভিন্ন পেশা/অকুপেশনে ২০০জন শিক্ষার্থী সফলতার সাথে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে।
এই ধারাবাহিকতায় জাতীয কারিগরি শিক্ষা নীতিমালার আলোকে তাদেরকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড জাতীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কাঠামো (এনটিভিকিউএফ) অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এই মূল্যায়ণ কার্যক্রম ২৮-২৯ জানুয়ারী ২০২১ ইং স্কাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কক্সবাজারের নিজস্ব ভবনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উক্ত মুল্যায়ন (অ্যাস্সেমেন্ট) কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে আগত মুল্যায়নকারী উপস্থিত থেকে মুল্যায়ন কার্য্যক্রম পরিচালনা করেন। উক্ত মূল্যায়ণ কার্যক্রমে টেকনাফ এবং উখিয়া থেকে আগত শিক্ষার্থীগণ কম্পিউটার আপারেশন, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন এবং মেইনটেন্যান্স এবং টেইলরিং এন্ড ড্রেস মেকিং পেশার শিক্ষার্থীগণ অংশগ্রহণ করেন। এখানে উল্লেখ্য যে কক্সবাজারে এই প্রথম বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষানীতিমালা ২০১১ অনুযায়ী আরপিএল (পূর্ব শিখনের স্বীকৃতি) পদ্ধতি অনুসরণ করে মুলায়ণ হয়, যা আন্তর্জাতিক মানের সনদায়ন। জাতীয় সনদায়নের যারা কম্পিটেন্ট হবেন তারা দেশের এবং বিদেশের যে কোন স্থানে উপযুক্ত বেতনে নিযুক্ত হতে পারবেন, পাশপাশি নিজেরা উদ্দোক্তা হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি দক্ষ হয়ে থাকেন, যে কোন বয়সের এবং যাদের কোন জাতীয় সনদ নেই তারা এই পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সনদ নিতে পারবেন।স্কাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কক্সবাজার এর চেয়ারম্যান এবং অধ্যক্ষ মো: মো: মারুফ বিল্লাহ জাভেদ জানান কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ কারিগরি শিক্ষা এবং চাকুরির ক্ষেত্রে অন্র্য জেলার তুলনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাছাড়া অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম এবং প্রকল্প চলমান রয়েছে। যেখানে অনেক দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। আর এই চাহিদাকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরণের পেশার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এবং জাতীয় সনদায়ন চালু রেখেছেন। পেশা গুলো হচ্ছে টেইলরিং এবং ড্রেস মেকিং, ইলেকট্রিক্যাল হাউস ওয়্যারিং, কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, বøক বাটিক এন্ড প্রিন্টিং, সার্টিফিকেশন ইন বিউটিফিকেশন, ড্রাইভিং, প্লাম্বিং (পাইপ ফিটিংস), মেশন (রাজমিস্ত্রি), ওয়েল্ডিং (গ্রিল মেকার), টাইলস্ ফিটিং, বিউটি পারলার এবং রড বাইন্ডিং ইত্যাদি।
তিনি আরো জানান গত একযুগ ধরে কাতালগঞ্জ চট্টগ্রামে প্রশিক্ষন প্রতিষ্টানের মাধ্যমে প্রায় বিশ হাজার বেকার যুবক/যুবতীদের শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছন। তিনি আরো জানান স্কাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কক্সবাজার বলেন ”কারিগরি প্রশিক্ষন মানে নিশ্চিত কর্মসংস্থান”। এজন্য সবার সহযোগিতা আশা করছে।জনাব জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), কক্সবাজার উপস্থিত প্রশিক্ষনার্থীদৈর সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রির নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আর এগিয়ে যাওয়ার জন্য কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তাই কক্সবাজারকে বেকার দারিদ্রমুক্ত করতে হলে স্কাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কক্সবাজার এর উদ্যোগকে স্বাগত জানান।উক্ত মুল্যায়ন কর্মসূচিতে আরো পরিদর্শন করেন জনাব জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মো: সিরাজুল ইসলাম, ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) মো: ফিরোজ আলম মোল্লা, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষন (টিভিইটি) বিশেষজ্ঞ এটুআই প্রোগ্রাম, জনাব কল্যান ব্রত দাস, কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স আফিসার, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, জনাব ফাতেমা আন্কিজ ডেইজী, সভাপতি কেন্দ্রীয় মহিলা সমবায় সমিতি এবং সহসভাপতি স্কাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কক্সবাজার
Leave a Reply