শিরোনাম :
ইলেকট্রনিক্স ও টি সি ই ফুড কোম্পানির ডিলার শীপ দেওয়ার নাম করে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সিটি ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। মনপুরায় মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার লাখাইয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১৫ সাতক্ষীরায় সাবেক আওয়ামীলীগের এমপির ছেলে মাদক ও ইয়ার গানসহ আটক গাজীপুরে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে শাহজাদপুরের শ্রেষ্ঠ রক্তদাতা হলেন সহকারী অধ্যাপক আলমাছ আনছারী সাতক্ষীরায় সেনাবাহিনীর অভিযানে সাবেক এমপি রিফাত আমিনের ছেলে রুমন মাদক ও অস্ত্রসহ আটক গলাচিপায় বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সংবাদ সন্মেলন পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পথচারী নিহত 

হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে টিকিটের মূল্য বেশি রাখার অভিযোগ।

মোঃ ইমন হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জঃ
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০
  • ৮৮২ বার পঠিত

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের টিকিটের মূল্য বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি ভাবে টিকিটের মূল্য তিন টাকা নির্ধারিত থাকলেও নেয়া হয় পাঁচ টাকা করে। তবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা খুচরা দিতে না পারার কারণে পাঁচ টাকা নেয়া হলেও পরে এসে দুই টাকা ফেরত নিয়ে যেতে বলা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বহির্বিভাগ খোলা থাকে। প্রতিদিন প্রায় দুইশ’ রোগী বহির্বিভাগে টিকিট কেটে থাকেন। সরকারি ভাবে টিকিটের নির্ধারিত মূল্য তিন টাকা।

সরজমিনে দেখা যায়, বহির্বিভাগের টিকেট কাউন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের দীর্ঘ সারি। তাদের টিকিট দিচ্ছেন অফিস সহায়ক শিমুল মিয়া। তাকে সহযোগিতা করছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. ফারুক।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অন্তত ১২ জন রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, টিকিটের মূল্য হিসেবে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে পাঁচ টাকা করে নেয়া হয়েছে। কাউকেই পরবর্তীতে এসে দুই টাকা ফেরত নেওয়ার কথা বলা হয়নি। তারা জানেন না টিকিটের সরকারি নির্ধারিত মূল্য তিন টাকা। তারা জানান, টিকিটের মূল্য নিয়মিতই পাঁচ টাকা করে নেয়া হয়।
চিকিৎসা নিতে আসা বয়ড়া গ্রামের কৌশল্যা জানান, তার কাছ থেকে টিকিটের মূল্য পাঁচ টাকা নেয়া হয়েছে।
রোকেয়া বেগম নামের এক নারী জানান, তার কাছ থেকেও পাঁচ টাকা নেয়া হয়েছে। তিনি দশ টাকার নোট দিলে তাকে পাঁচ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। খলিলপুর গ্রামের সুমি জানান, তার কাছ থেকে টিকিটের মূল্য পাঁচ টাকা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, টিকিটের মূল্য পাঁচ টাকা করেই নেয়।
জানতে চাইলে টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা অফিস সহায়ক শিমুল মিয়া বলেন, খুচরা না থাকলে পাঁচ টাকা নেয়া হয়। তাদেরকে বলে দেয়া হয় পরবর্তীতে এসে দুই টাকা নিয়ে যেতে।
হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান বলেন, তিন টাকা যারা খুচরা দিতে পারেন না তারা পাঁচ টাকা দেন বা তাদের কাছ থেকে পাঁচ টাকা নেয়া হতে পারে। তবে তাদেরকে পরে এসে দুই টাকা ফেরত নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দেয়া হয়। কেউ নিতে আসলে নিলো, কেউ না নিতে আসলে তো আর কিছু করার নেই।
মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আইন মোতাবেক টিকিটের অধিক মূল্য নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি বেশি নিয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com