লকডাউনে বিপাকে পড়া বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর কথা ভেবে বরগুনা সদর থানার ওসির পক্ষ থেকে শুরু হয় নিয়মিত খাবার বিতরণ। এরপর চলছে একটানা। প্রথমে স্বল্প পরিসরে শুরু হলেও দিনদিন বাড়ছে পরিধি। পৌর এলাকায় থাকা প্রায় ২৫০ কুকুরকে গত একমাস ধরে ধাপে ধাপে খাবার দেওয়া হচ্ছে। বরগুনা সদর থানার পিকআপ গাড়িতে খাবার নিয়ে আসার শব্দ পেলেই কুকুরগুলো শান্তভাবে জড়ো হয়। দুপুরের আগেই শুরু হয় রান্নার আয়োজন। দুপুরের পরপরই পিকআপে করে রান্না করা খিচুড়ি খাবার নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ওসি। ওই খাবার পৌরসভার বিভিন্ন সড়কগুলোতে ঘুরে বেড়ানো কুকুরদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
এবং সন্ধ্যার পরেও ঘুরে বেড়ায় ওসির নেতৃত্বে সদর থানার (ওসি তদন্ত )সহিদুল ইসলাম সহ সদর থানা পুলিশ তারা অলিগলিতে শতাধিক কুকুরের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চলমান সাধারণ ছুটিতে দেশে চলছে টানা সর্বাত্মক লকডাউন। বন্ধ রয়েছে হোটেল-রেস্টুরেন্ট। সড়কে মানুষের চলাচলও কম। তাই বিপাকে পড়েছে সড়কের বেওয়ারিশ কুকুরগুলো। খাবার সঙ্কটের কারণে হিংস্র হয়ে ওঠে ওরা। সড়কে হঠাৎ মানুষজন দেখতে পেলেই কুকুরগুলো তেড়ে আসত, ঘিরে ধরত। লকডাউনে বিপাকে পড়া বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর কথা ভেবে শুরু হয় এই খাবার বিতরণ। এরপর চলছে একটানা। প্রথমে স্বল্প পরিসরে শুরু হলেও দিনদিন বাড়ছে পরিধি।
বরগুনা সদর থানার ওসি কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষের মতো বেওয়ারিশ পশুগুলোও বিপাকে পড়েছে। মানুষদের মধ্যে অনেকে সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এলেও সড়কের কুকুরদের ব্যাপারে তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে কুকুরগুলো দিন দিন হিংস্র আচরণ শুরু করেছিল। আমরা ছোট পরিসরে এ কার্যক্রম শুরু করি। ওই সমস্ত বেওয়ারিশ কুকুর গুলোর জন্য শুরু হয় রান্না করা খিচুড়ি খাবার বিতরণ।
যতদিন সঙ্কট থাকবে, ততদিন খাবার বিতরণ করা হবে। এটা খুবই দরকারি ছিল। মানুষের পাশাপাশি কুকুরেরও বেঁচে থাকা দরকার। এদের পাশে দাঁড়ানোর মতো মানসিকতা সবার থাকে না। এটি মহৎ উদ্যোগ বলে জানান তিনি।
Leave a Reply