সবুজ সাহা,লক্ষ্মীপুরঃ রামগতিতে মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ।মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে রামগতি উপজেলা।এমন পরিস্থিতিতে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কমিউনিটি ক্লিনিক,মসজিদ,বাজারসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা।এছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের বড়খেরী ইউনিয়নের কোরেশবাড়ি এলাকায় বিবিরহাট-রামগতিরহাট সড়কের অংশ মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে।মেঘনার তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শত শত বাড়ি ঘর,বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলী জমি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,সবচেয়ে বেশী ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে রামগতির বড়খেরী,চররমিজ,মধ্য আলগী,গাবতলী,আলেকজান্ডার ইউনিয়নের বাংলাবাজার ও সুজনগ্রাম এলাকা।ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে এসব এলাকার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা,হাট-বাজার,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,বসতবাড়িসহ বিস্তীর্ন জনপদ।এছাড়া ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে চররমিজ দক্ষিণ-পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দক্ষিণ চরআলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মধ্য চরআলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কাটাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বালুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পশ্চিম বালুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বালুরচর উচ্চ বিদ্যালয়,বিবিরহাট বাজার,মুন্সীরহাট,বাংলাবাজার ও জনতা বাজার।
স্থানীয়রা জানান,মেঘনা নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে এলাকার বিভিন্ন স্থপনাসহ ফসলী জমি এবং গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েকহাজার পরিবার।এমন ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে কয়েকটি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের প্রধান সমস্যা মেঘনার ভাঙন।জনগোষ্ঠী দাবী বর্তমানে এই নদী বাঁধ হবে কি?
এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এম এম জাহাঙ্গীর(রামগতি উপ-বিভাগ) মুঠোফোনে কল করে পাওয়া যায়নি।
এদিকে নদীবাঁধকে কেন্দ্র করে দিনরাত ফাইল নিয়ে দৌড়ঝাঁপ দিচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক এক সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা আব্দুজ জাহের সাজু।রামগতির যে কোন দুর্যোগ মুহূর্তে সর্বপ্রথম ছুটে আসেন এ নেতা।নিজ জন্মস্থল বাঁচাতে গত কয়েক মাস থেকে তিনি তার নিজ পেইজবুক পেইজে নদীবাঁধকে কেন্দ্রে করে প্রতি সাপ্তাহ আপডেট পোস্ট দিয়ে আসছেন,সাথে তিনি সকল স্তরের মানুষরের দোয়া চান।
গত করোনা থেকে এখন পর্যন্ত নদীভাঙ্গা অসহায়, গৃহহীন হত দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি, দিয়েছেন ২হাজার বেশি অসহায় মানুষের শীত বস্ত্র, রমজানে দিয়েছেন ইফতার সামগ্রী,ঈদে দিয়েছেন অসহায় মানুষকে কাপড়,পান্জাবী সহ নানা পোষাক।
এ বিষয়ে আব্দুজ জাহের সাজু বলেন,রামগতি-কমলনগরবাসীর প্রাণের দাবী নদী বাঁধ।তাই আমি এই প্রজেক্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়,পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়,পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ নানা দপ্তরে যোগাযোগ ও তদবীর করে কাজের ৯৯% কাজ সম্পূর্ণ করেছি,এখন একনেকের বৈঠকে উপস্থাপনের বাকী শুধু। আশাকরি একনেকে পাস হলে আগামী জুন মধ্যে দ্রুত নদী বাঁধের একটা সুখবর পাবে এলাকাবাসী,আমার শ্রম,অর্থ নষ্ট হলেও এই কাজ সম্পূর্ণ করবো।