খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীতে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে শিশু-কিশোরদের গান শেখানো হচ্ছে। ১৯৭৩ সালে একটি অস্থায়ী গোলপাতার ছাউনি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিল এ একাডেমী। এরপর প্রায় অর্ধশতাব্দী কেটে গেলেও এখনো প্রতিষ্ঠানটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া আসেনি। ফলে সাংস্কৃতিক চর্চার অন্যতম এ প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুরুর দিকে নড়বড়ে ছাউনিতেই গান শেখানোর ক্লাস চলতো। এখন টিনের একটি ভবন হলেও প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে নেই কোনো আধুনিক সরঞ্জাম, নেই প্রয়োজনীয় সাউন্ড সিস্টেম, এমনকি নেই কোনো প্রশিক্ষিত মিউজিসিয়ান। সরকারি বড় কোনো অনুষ্ঠান হলে আজও একাডেমীকে নির্ভর করতে হয় ভাড়া করা সাউন্ড সিস্টেমের ওপর। এতে গান শেখাতে যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের আগ্রহও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে আজ অবধি গান শেখানোর গুরুদায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন কার্তিক চন্দ্র দাস। তাঁর নিবেদিত প্রচেষ্টায় এখনো শিশু-কিশোররা নিয়মিত গান শিখছে। তবে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকার জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন, তার কিছুই এখানে নেই। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, “আমাদের পর্যাপ্ত তহবিল নেই। তবে বিষয়টি উপরস্থ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ফান্ড পাওয়া গেলে একাডেমীতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যোগ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।”
স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা বলছেন, উপজেলা পর্যায়ের এ প্রতিষ্ঠানটি যদি যথাযথ সহযোগিতা পেত, তবে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক বিকাশে বড় ভূমিকা রাখতে পারত। বর্তমানে একাডেমীটি টিকে আছে শুধু একজন প্রবীণ গানের শিক্ষক কার্তিক চন্দ্র দাস এর নিবেদিত প্রচেষ্টায়। তাই দ্রুত উদ্যোগ না নিলে এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ আরও কমে যাবে।
Leave a Reply