শিরোনাম :
বগুড়ায় মাদক ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এএসপির সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা কিশোরগঞ্জ উপজেলা কে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়তে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নভেম্বরে জেদ্দায় পঞ্চম বার্ষিক হজ সম্মেলন এবং প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা গড়াইটুপি ইউনিয়ন সড়াবাড়ীয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জামায়াতে ইসলামীর বিজয় রাজশাহী দুর্গাপুরে খাদ্যগুদাম থেকে নিম্নমানের চাল উদ্ধার ৩ জনকে বদলির পর মামলা বলিউডের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জুবিন গার্গ আর নেই আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে গোপালপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মত বিনিময় সভা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ” ভূঞাপুর সাহিত্য আড্ডা”-এর অষ্টম পর্ব অনুষ্ঠিত গোপালপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত ভাঙনের থাবায় গলাচিপার পাকা সড়ক নদীগর্ভে, যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকিতে

আধুনিক ছোয়ার অভাবে পিছিয়ে গলাচিপা শিল্পকলা একাডেমী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৩৫ বার পঠিত

খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীতে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে শিশু-কিশোরদের গান শেখানো হচ্ছে। ১৯৭৩ সালে একটি অস্থায়ী গোলপাতার ছাউনি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিল এ একাডেমী। এরপর প্রায় অর্ধশতাব্দী কেটে গেলেও এখনো প্রতিষ্ঠানটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া আসেনি। ফলে সাংস্কৃতিক চর্চার অন্যতম এ প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুরুর দিকে নড়বড়ে ছাউনিতেই গান শেখানোর ক্লাস চলতো। এখন টিনের একটি ভবন হলেও প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে নেই কোনো আধুনিক সরঞ্জাম, নেই প্রয়োজনীয় সাউন্ড সিস্টেম, এমনকি নেই কোনো প্রশিক্ষিত মিউজিসিয়ান। সরকারি বড় কোনো অনুষ্ঠান হলে আজও একাডেমীকে নির্ভর করতে হয় ভাড়া করা সাউন্ড সিস্টেমের ওপর। এতে গান শেখাতে যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের আগ্রহও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে আজ অবধি গান শেখানোর গুরুদায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন কার্তিক চন্দ্র দাস। তাঁর নিবেদিত প্রচেষ্টায় এখনো শিশু-কিশোররা নিয়মিত গান শিখছে। তবে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকার জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন, তার কিছুই এখানে নেই। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, “আমাদের পর্যাপ্ত তহবিল নেই। তবে বিষয়টি উপরস্থ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ফান্ড পাওয়া গেলে একাডেমীতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যোগ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।”

স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা বলছেন, উপজেলা পর্যায়ের এ প্রতিষ্ঠানটি যদি যথাযথ সহযোগিতা পেত, তবে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক বিকাশে বড় ভূমিকা রাখতে পারত। বর্তমানে একাডেমীটি টিকে আছে শুধু একজন প্রবীণ গানের শিক্ষক কার্তিক চন্দ্র দাস এর নিবেদিত প্রচেষ্টায়। তাই দ্রুত উদ্যোগ না নিলে এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ আরও কমে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com