আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর এবং জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের উপকূলীয় বঙ্গোপসাগর এবং শংখের তীরে ইলিশ মৌসুমের শেষ সময়ে হলেও জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে।দেখা মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।এতে লাভের আশা বুনছেন জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
২১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝির ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সাগরের বোট থেকে ইলিশ নামাচ্ছেন জেলেরা,দুই বা তিনদিন সাগরে অবস্থান করে ১০ থেকে ১২ মণ ইলিশ শিকার করেছেন বলে জানান তারা।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া ঈদগাহ ঘাট থেকে শুরু করে পরুয়াপাড়া পিছের মাথা,ছত্তার মাঝির ঘাট,ছমদ মেম্বার ঘাট,গলাকাটার ঘাট,ছিপাতলী ঘাট,দোভাষীর ঘাট,উঠান মাঝির ঘাট,বাইগ্যেরো ঘাট,বার আউলিয়া ঘাট,জেলে পাড়া ঘাট,ফকির হাট,ঘাটকুল,জুঁইদন্ডী শংখ নদীর তীরে ইত্যাদির সবখানে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ শিকার করে বিক্রি উদ্দেশ্যে প্যাকেট করতে ব্যস্ত তারা।
এই ইলিশগুলো চট্টগ্রাম ফিসারিঘাট থেকে শুরু করে ঢাকার ধনিয়া,যাত্রা বাড়ি,ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয় বলে জানান মৎস্য ব্যবসায়ীরা।তবে বিগত সময়ে ইলিশের তেমন খুঁজ মিলেনি বলে জানান মালিকরা।
তারা জানান,আগের তুলনায় এই বছর ইলিশ তেমন পাওয়া খুঁজ মিলেনি।এই বছর অনেক বহদ্দার মালিকের টাকা লোকসান হয়েছে,তবে এরকম যদি মাছ বেশি পাওয়া যায় তাহলে লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারে বলে আশা করেন ব্যবসায়ীরা।
গহিরা উঠান মাঝির ঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ নাছির জানান,প্রথম থেকে ইলিশ মাছের খুঁজ মিলেনি,আর এবারে আমাদের সাগরের ফাড়(জায়গা) নিয়ে অনেক ঝামেলা এবং জাল বসানো নিয়ে মারমারি ইত্যাদিসহ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল,যার কারণে জেলেদের মাছ শিকারে অনেক হিমসিম খেতে হয়েছে।আশা করি এগুলো কাটিয়ে শেষ সময়ে হলেও জেলেদের মুখে হাসি ফুটবে বলে আশা করতে পারি।
Leave a Reply