আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্ৰামকে আদর্শ গ্ৰাম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
রবিবার (১১ মে ) বিকেলে কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টার একান্ত সচিব (যুগ্ম সচিব) আবুল হাসান, যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভূমি- এসিল্যান্ড) নুসরাত ইয়াসমিন, সহকারী কমিশনার আহসান হাবিব, ইসতিয়াক আহমেদ তপু, তাজুল ইসলাম, শাহেদ হোসেন, নাফিউল ইসলাম, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম।
কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কুশোডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ আলী গাজী, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন, জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা তপন সাহা, কুশোডাঙ্গা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান, জামায়াত সভাপতি সাইফুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) মোস্তাক আহমেদ বলেছেন, সাতক্ষীরা জেলায় কোন ঘুষ চলবে না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আদর্শ গ্রাম গড়তে হলে গ্রামের মানুষদের আদর্শ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। এজন্য সকল হিংসা, লোভ লালসা বর্জন করতে হবে। মানুষের উপকার করতে না পারলেও কোন ভাবেই অপকার করা যাবে না। একে অপরের পাশে থেকে সকলে মিলে মিশে থাকতে হবে। কোন অপকর্ম করা যাবে না। কোন সমস্যা থাকলে বা হলে সবাই মিলে সমাধান করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এদিন কুশোডাঙ্গা গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে পথচলার ঘোষণা দেন।
তিনি আরো বলেন, একটি আদর্শ গ্রামে কেউ গরিব থাকবে না, থাকবে না কোনো অপরাধী, মাদকসেবী। মানুষে মানুষে বিবাদ-বিভেদ থাকবে না। মানুষের মাঝে থাকবে সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধন। আদর্শ গ্রাম প্রতিষ্ঠায় সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি নাটোরের হুলহুলিয়া গ্রামের উদহারণ তুলে ধরে বলেন, ওই গ্রামের একজন শিক্ষক নিজে উদ্যোগ নিয়ে গ্রামটিকে আদর্শ গ্রামে পরিণত করেন। ওই গ্রামে শতভাগ মানুষ শিক্ষিত। কেউ গ্রাজুয়েশন ডিগ্রির নিচে নন। এই গ্রামে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি অসাধারণ। আজও পরম শান্তিতে এই গ্রামের মানুষ বসবাস করে আসছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা যুবদল নেতা প্রভাষক সালাউদ্দিন পারভেজ, আবু জাফর, খোকন, সাংবাদিক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, সানবীম করিম সিয়াম, ফারুক হোসেন রাজ, দেলোয়ার হোসেনসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার অসংখ্য জনসাধারণ।
Leave a Reply