খন্দকার জলিল,স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ রাখার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা আসন্ন দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। এসময় তারা প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, দুর্গাপূজা কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি সকলের অংশগ্রহনের এক মিলনমেলা।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর নজরদারি চালানো হবে এবং যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।”
প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান সভায় বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজাকে ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে এবং কোনোভাবেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হতে দেওয়া হবে না।”
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পূজা চলাকালীন সময়ে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আনসার ভিডিপিসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে গলাচিপা পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ১৮ থেকে ২০টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। পূজা উপলক্ষে ইতোমধ্যেই মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে এবং সাজসজ্জার কাজও চলছে পুরোদমে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা আরও আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা আগের মতো এবারও আনন্দঘন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করতে সক্ষম হবেন।
Leave a Reply