আতিকুর রহমান আতিক
জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম :
জেলার উলিপুরে ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাকরেরহাট ফাজিল মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানটির মাঠের পূর্ব দিকে হাফিজি মাদ্রাসা পশ্চিমে হাইস্কুল, দক্ষিণে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য মাদ্রাসা মাঠের চারদিকেই সাজানো হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানে ঢুকলেই চোখে পড়বে শিক্ষার আলোয় ফোটা গোলাপের পাপড়ি গুলো। সরকার পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্দোলন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক প্রতিষ্ঠানের আন্দোলন ব্যর্থ হলেও গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের আন্দোলন সফল হয়। সেই সফলতার আশা ভরসা বুকে লালন করে কিছু অসাধু শিক্ষক মাদ্রাসার ছাত্র/ ছাত্রীদের উস্কে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে আন্দোলনের ডাক দেন।ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষায় সুনাম কাড়লেও শিক্ষার প্রদীপ নিভিয়ে কুশিক্ষায় শিক্ষিত করে হাতে ধরে দেন আন্দোলনের মশাল। আন্দোলনরত ছাত্র/ ছাত্রী গত ৯-এ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে তালাবদ্ধ করে রাখে। বিভিন্ন দুর্নীতি সামনে এনে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধানের জন্য মাদ্রাসায় গেলে ছাত্রদের মাথায় আন্দোলনের সাদা ব্যাচ দেখতে পাওয়া যায়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানা যায় প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক তাদেরকে ব্যাচ দিয়েছেন আন্দোলন করার জন্য। তথ্য অনুসন্ধানে আরএকটু গভীরে গেলে অফিস কক্ষের উপরে ছাত্রদের নাম দিয়ে অধ্যক্ষের বিভিন্ন দুর্নীতির চিত্র লিপিবদ্ধ করে লিফলেট সাটানো হয। লিফলেট সম্পর্কে জানা যায় যে কৃষি শিক্ষক রাজু এবং অফিস সহকারী কাম- কম্পিউটার আবু তাহের ছাত্রদের নাম দিয়ে নিজেই লিখে অফিস রুমের ওয়ালে লাগিয়ে দেন।এমনকি নিজ সাধ্য হাসিলের জন্য বৈষম্য বৃদ্ধি ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে একটি হুসিয়ারী বার্তা লিখে ওয়ালে আটকে দেন আবু তাহের। তিনি তার অসাধু কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ১২ দিন ধরে অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না হতে পারায় শিক্ষাদান ব্যহত হচ্ছে। কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায় সহকারি কৃষি শিক্ষক রাজু ২০০১ সালে বিএসসি ( জীববিজ্ঞান) পদে যোগদান করেন।
নিয়োগের পরথেকে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত ও শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং করার অপরাধ সামনে এনে নিয়োগ কমিটি চাকরির স্থায়ীকরণ না করার জন্য সুপারিশ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে। কমিটির পক্ষ থেকে রাজুর নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
সহকারী কৃষি শিক্ষক রাজু জানান আমার নিয়োগ বৈধ। কৃষি শিক্ষক পাওয়া না যাওয়ায় কমিটি আমাকে কৃষিতে নিয়োগ দেন। চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী দুই বছর পর অটো স্থায়ী করণ করা হয়েছে। স্থায়ী করণ না করার সুপারিশ কোন বিষয় না।
Leave a Reply