শিরোনাম :
“পুলিশের ওপর হামলা মামলার আসামি ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ- চট্টগ্রাম শাখার এক নেতা। তাকে উক্ত মামলায় গ্রেফতার করা হলে, এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা ঘিরে দিনভর বিক্ষোভ করে ‘ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশের’ নেতাকর্মীরা আশুগঞ্জে ১৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারী গ্রেফতার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে বিদায়ী সংবর্ধনা জানালেন, হরিণাকুণ্ডুর মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার চোর সন্দেহে যুবককে হত্যা চেষ্টা হারুয়ালছড়িতে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ঝিনাইদহে জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার- সার,বীজ উদ্ধারের নাটক সাজানোর অভিযোগে তোলপাড়- মির্জাপুর গোলাপী হত্যা মামলায় স্বামী আব্দুল কাদের শশুর বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রফিকের পিতার জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি ইমদাদুল, সম্পাদক হিরো জামায়াতকে আমরা ১৯৭১ সালেই দেখেছি, নতুন করে দেখার কিছু নেই – আমিনুল হক

উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০৭ বার পঠিত

নিজস্ব সংবাদদাতা:
গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্র মেরামতের নামে টাকা ভাগাভাগি, নাম মাত্র কাজ করে টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ বিভাগ থেকে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্র হিসেবে দেশের ৪ হাজার ১৭৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতের জন্য কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় একটি পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২’শ ৬৮টি এর মধ্যে ৩৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র মেরামতের জন্য বরাদ্দ পায় ২৮লাখ ৮৪হাজার টাকা।

বরাদ্দের তালিকা অনুযায়ী কালুডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র মেরামতের জন্য বরাদ্দ পায় ২ লক্ষ টাকা, বুড়াবুড়ি সরকারী প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয় বরাদ্দ পায় ১ লক্ষ টাকা, খামার বজরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১লক্ষ ৩০ হাজার, ভদ্রপাড়া আর্দশ সরকারী প্রাথমকি বিদ্যালয় ১লক্ষ ৩৫ হাজার।

রবিবার (৩ নভেম্বর) সরেজমিনে কালুডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে উন্নয়ন মূলক কোন কাজই দেখতে পাওয়া যায় নি।
বরাদ্দকৃত টাকা কোন কোন খাতে কীভাবে ব্যায় করেছেন সেই বিষয়েও কোন তথ্য দিতে পারেন নি প্রধান শিক্ষক শীতেন্দ্রনাথ বর্মণ । পরে রাগান্বিত হয়ে , কি কি কাজ করছি, সেই কাজের কোন ভাউচার দেখাবেন না বলেও জানান তিনি। সব টাকা দিয়েই আমি কাজ করেছি। তবে কাজের কোন তথ্য আপনাদের দেখতে পারবো না। যা করতে পারেন গিয়ে করেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফরহাদ হোসেন খন্দকার বলেন, আপনারা কেন আমাকে বিরক্ত করছেন, আপনাদের যা ইচ্ছা হয় লিখেন।
একই চিত্র দেখা যায়, বুড়াবুড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, তাঁদের বরাদ্দের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা,প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহেল কাফির কাছে বরাদ্দকৃত অর্থে কি কি ক্রয় করে কোন কাজ করছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি সকল কাজ করছি । কাগজ ও ভাউচার আছে। প্রতিবেদকে প্রায় ১ ঘন্টা বসিয়ে রেখে খোঁজা খুঁজি করে, কোন বিল ভাউচার দেখাতে পারেন নাই। পরর্বতীতে প্রতিবেদকে কাগজ পাঠিয়ে দিবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ভোট কেন্দ্র মেরামতের বরাদ্দের বিষয়ে আমার জানা নাই, তৎকালীন আমার শিক্ষা অফিসার আমির হোসেন এসব বিষয়ে কোন তথ্য আমাকে দেয় নাই। তাই এসব নিয়ে কোন কথা আমি বলতে পারবো না।

ভদ্রপাড়া আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মল্লিকা বেগম জানান, ভোট কেন্দ্র মেরামতের যে বরাদ্দ ছিলো সেই বিষয়ে কোন তথ্যই জানেন না তাই কোন কাজ করছে না কি করছে সেই বিষয়ে কোন কিছুই বলতে পারতেছি না। মেরামতের মতো কোন কাজও হয়নি বলে জানান তিনি। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক নিলুফা বেগমকে ফোন দিয়ে বিষয়টির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিবেদকে বলেন আমি ব্যস্ত আছি এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে কোন কিছু বলতে নিষেধ করে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসহাক আলী বলেন, আমি এবিষয়ে কিছুই জানি না।

খামার বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক জহুরুল হককে পাওয়া যায় নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারি শিক্ষক বলেন, বরাদ্দের কোন তথ্য আমাদের জানা নেই। ভোট উপলক্ষে বিদ্যালয় ভবন মেরামতের কোন কাজও আমরা জানি না। এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ভালো বলতে পারবে।

প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক এর মুঠোফোনে ফোন দিয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, পরে ফোন দিয়ে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
ভোট কেন্দ্র মেরামতের বরাদ্দের টাকা ভাগা ভাগি, নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে টাকা আত্নসাৎ ও অনিয়মের বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমির হোসেন বলেন, আমি কোন টাকা ভাগা ভাগি অনিয়ম করি নাই। ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চেক দেওয়া হইছে। টাকার ভাগ নেওয়ার সুযোগ নাই।
ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নার্গিস ফাতিমা তোকদার বলেন, আমি নতুন দ্বায়িত্ব পাইছি এসব বিষয়ে আমার জানা নাই।

এসব বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন এসেছি, এ বিষয় বলতে পারবো না। তবে নিয়ম মাফিক কাজ করার উচিৎ ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com