কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট সামসুল আলমের বিরুদ্ধে অর্জিত অবৈধ অর্থে অবৈধ সম্পদ ক্রয়ের অভিযোগ ওঠে। ধামশ্রেনী এলাকার কামরুন নাহার নামের এক ভুক্তভোগী উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অবৈধ অর্থের বিষয়ে অভিযোগে উল্লেখ না থাকলেও সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কয়েক দিনের তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় সামসুল আলম ফার্মাসিস্ট হলেও ডাক্তার হিসাবে পরিচয় দেন। এমনকি পোস্টালে ডাক্তার সামসুল আলম লেখা দেখতে পাওয়া যায়।
তার কর্মরত দায়িত্ব ভুলে গিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মিসিতে রোগি দেখতে ব্যস্ত। পরামর্শ পত্রের পাশাপাশি রোগিদের বিভিন্ন পরিক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে থাকেন স্বঘোষিত ডাক্তার সামসুল আলম। ধার করে নেওয়া জনবল দিয়ে চালান সরকারি কর্মদায়িত্ব। গোপনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের বরাদ্দ দেওয়া বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ রোগীদের বিতরণ না করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করেন। প্রত্যক্ষ দর্শীরা প্রমাণ সহকারে জানান ঔষধ কোম্পানী প্রতিনিধিদের সাথে ঔষধ বিক্রয়ের যোগসূত্র রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ আসা রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এসেনশিয়াল ড্রাগসের কমদামি ঔষধ ছাড়া কোন ঔষধেই দেয়া হয়না তাদের। গ্রাম থেকে আসা সাধারণ রোগীদের অধিকার বঞ্চিত করলেও প্রভাবশালীদের দিতে হয় মূল্যবান ঔষধ। কিছু ঔষধ বিতরণ হলেও কোটি টাকার ঔষধ চলে যায় ভোগের পেটে। কালো বাজারে ঔষধ বিক্রি, চিকিৎসার নামে রোগীদের প্রতারণা করে অর্জিত অর্থ দিয়ে ক্রয় করছেন আইনি জটিলতায় পড়া জমি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ৫ বছর আগে বিক্রয় হওয়া জমি ক্রয় করেন সামসুল আলম। জমি ক্রয়ের পর জায়গা খালি করতে শয়ন ঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ঘরটিকে রক্ষা করতে পারেন নি। ঘর না থাকলেও পড়ে রয়েছে পুড়ে যাওয়া ছাই। এ বিষয়ে সামসুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমি জায়গা দেখিনি, কাগজ দেখে জায়গা নিয়েছি। জায়গা বসত বাড়ি কিনা সেটাও জানি না।
Leave a Reply