[২] গাজীপুুরের শ্রীপুরে এনজিও থেকে ঋনের টাকা পরিশোধের পরও মামলায় নারীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।আদালত ওই নারীর জামিন মঞ্জুর করেছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তরিকুল ইসলাম।
[৩] শ্রীপুর উপজেলার বারতোপা বাজারের কাপড়ের দোকানি নুরুল আমীনের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন স্বামীকে সহায়তার জন্য ২০১৭ সালে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামে একটি এনজিও থেকে ১লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। মাসে ৯ হাজার ৫০০ টাকা করে এক বছরে সুদসহ ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। শাহনাজ পারভীন ঋণের পুরো টাকাই পরিশোধ করেছেন। মাঝে ২ কিস্তি দিতে দেরি হয়েছিল, কিন্তু পরে শোধ করা হয়েছে।
৪] ২০১৭ সালে এমন ভাবে একটি ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ করার পরও এনজিওর মামলার ফাঁদে আটকে গেছেন শাহনাজ পারভীন। সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেলে তার ছয় মাসের দুগ্ধজাত শিশু রেখে পরোয়ানা মূলে শাহনাজ পারভীনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। এবং মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ওই নারীকে আদালতে পাঠিয়েছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
[৫] শাহনাজের স্বামী নুরুল আমীন বলেন, এনজিও আমাদের ঋণ পরিশোধের প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে। তারপরও তারা আমার স্ত্রীর নামে মামলা করে। এ মামলার বিষয়ে আমরা কেউ কিছু জানতাম না। হঠাৎ করে শ্রীপুর থানা পুলিশ গিয়ে আমার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেলে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এবং আদালত জামিন দিয়েছে।
[৬] টিএমএসএসের শ্রীপুর-১ শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম বলেন, শাহনাজ পারভীন নামে বর্তমানে আমাদের কোনো সদস্য নেই, তবে আগে ছিল। তখন আমি এ শাখার ব্যবস্থাপক ছিলাম না। তার কাছে আমাদের কোনো দেনা-পাওনা নেই। তবে তার বিরুদ্ধে কেন মামলা হলো তা আমি বলতে পারব না। আমার আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন বিষয়টি তার জানা থাকতে পারে।
[৭] এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তরিকুল ইসলাম বলেন, টিএমএসএসের গাজীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আতাউর রহমানকে ফোন করলে তিনি জানান,বিষয়টি আমলে এনে জামিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন মামলা থেকে দ্রুত অব্যাহতির ব্যবস্থা করা হবে।
[৮] এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার বলেন, এনজিওর মামলায় আদালতের পরোয়ানা মূলে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনজিও কর্তৃপক্ষ ফোন করে জানিয়েছেন ঋন গ্রহীতা শাহনাজের নিকট বকেয়া ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করা আছে।আগের ব্যবস্থাপকের আমলে বকেয়া টাকার কারনে মামলা ভুলে উঠানো হয়নি।আদালতের পরোয়ানাকে সম্মান জানাতেই নারীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।তবে ভুক্তভোগী পরিবার এনজিও’র বিরুদ্ধে হয়রানী ও মানহানীর মামলা করলে মামলা নেয়া হবে।
Leave a Reply