জসিম উদ্দিন রুবেলঃ লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগন্জ থানার আওতাধীন ১০নং চন্দ্রগন্জ ইউনিয়নের ধৃত পুর গ্রামে কাবিন ছাড়া বিয়ের দুই বছর পর স্বামী পলাতক।
১২নং চরশাহী ইউনিয়নের ৮নং উত্তর রামপুর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বিয়ে করেন ১০নং চন্দ্রগন্জ ইউনিয়নের ধৃত পুর গ্রামের মেয়ে নারগিস কে।বিয়ের দুই বছরের মাথায় পালিয়ে যান স্বামী মোহাম্মদ ইকবাল।মোহাম্মদ ইকবালের পিতার নাম মোহাম্মদ কপিল।
এই বিষয়ে নারগিসের সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমার সাথে ইকবালের প্রথমে দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।সম্পর্কের দুই বছর পর আমাদের বিয়ে হয়।আর বিয়ে পড়ান মোহাম্মদ সেলিম হুজুর।সেলিম হুজুরের মোবাইল বন্ধ করে দিছে।বিয়ের সময় ইকবাল তার বাবার মান সম্মানের কথা চিন্তা করে কাবিন লিখে নাই।কোরআন শপথ করে বলেছিলো কাবিন টা তার বাবার কথা মতে হবে।
আমার বাড়ির পাশে রাবেয়া নুরানিয়া মাদ্রাসায় প্রধান হুজুরের দায়িত্বে ছিলেন ইকবাল।সেই সুবাদে আমার সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে।দুই বছর পর আমাকে ঘরে তোলার জন্য ইকবাল তার পরিবারকে চাপ দিলে ইকবালের পরিবার আমাকে মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় ইকবাল আমাকে রেখে পালিয়ে যায়।এমনকি মাদ্রাসার চাকরি ছেড়ে চলে গেছে।
প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে নারগিস জানান,ইকবালের পরিবারের সবাই জানতো ইকবাল আমাকে বিয়ে করেছে।এমনকি তার বোনেরা আমাদের বাড়িতেও আসতো।কিন্তু এখন সবাই আমাকে অস্বীকার করছে।আর এই অবস্থায় আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।আমি আপনাদের কাছে বিচার চাই।
এই বিষয়ে মোহাম্মদ ইকবালের পিতা কপিল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়,আমার ছেলের সাথে যদি নারগিসের বিয়ে হয় তাহলে আমাকে কাবিন দেখাতে হবে।কাবিন দেখাতে পারলে আমি আমার ছেলের বউ হিসাবে ঘরে তুলে নিবো।
এদিকে নারগিস আমাদের জানায়,ইকবালের এক বোন অবিবাহিত,বাবা উত্তর রামপুর খানকায়ে সিরাজিয়া ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার হুজুর আর তাই পরিবারের মান সম্মান রাখতে কাবিন করে নাই ইকবাল।ইকবাল পরিবারের কাছে চাপ দেয় আমাকে ঘরে তুলে নিতে কিন্তু ইকবালের পরিবার আমাকে অস্বীকার করায় সে পালিয়ে গেছে।
এই বিষয়ে জানার জন্য ইকবালের মোবাইলে ফোন করলে তার ৩ টা নাম্বারি বন্ধ পাওয়া যায়।নারগিসের এলাকার লোকজন বলছে আমরাতো জানি বিয়ে করেছে।বিয়ে করেছে ইকবালও বলছে,নারগিসও বলছে,এমনকি নারগিসের মা সহ বাড়ির লোকজন সবাই বলছে।
এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে অনেকেই জানায় আমরা ইকবালকে একবার আটক করেছি নারগিসের ঘর থেকে।সেইসময় ইকবাল বলেছে আমি বিয়ে করেছি,নারগিসের মা বলেছে আমার জামাই তাই আমরা ছেড়ে দিয়েছি।এলাকার সবাই জানে তারা বিবাহিত।আসলেই তারা বিবাহিত তবে সহজ সরল পেয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কাবিন করে নাই নারগিসের পরিবার।হয়তো ভেবেছে হুজুর মানুষ সমস্যা নেই আর এখন পালিয়ে গেলো।
নারগিসের পরিবার থানায় অভিযোগ করতে গেলে চন্দ্রগন্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ছেলে পক্ষ কে সময় বেধে দেয় আগামী মাসের ৫ তারিখ ইকবালকে হাজির করার জন্য।এলাকায় বিভিন্নভাবে খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানা যায়।চন্দ্রগন্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ জসিম উদ্দিন ছেলেকে হাজির করার পর পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
Leave a Reply