লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জের কাকিনা রাজস্মৃতি সার্বজনীন মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে আয়নুল হক নামে একটি মুসলিম পরিবারের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৮নং কাকিনা ইউনিয়নে।
নথিপত্র অনুসারে, কুসুমকুমারী দেববা ১৯৪০ সালের সিএস অনুসারে জমির মালিক ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালে খোরকান আলী ওরফে কোরবান আলীকে জমি দান করেছিলেন, ২৮ শতাংশ জমির ৪ শতাংশ মন্দিরের জন্য এবং বাকি ২৪ শতাংশ বিক্রি করেছিলেন। ১৯৬২ সালে, ২৭ শতাংশ জমি খোরকান আলী কোরবান আলীর নামে নিবন্ধিত হয়েছিল।
কোরবান আলী যখন ১৯৮৪ সালে এসএ রেকর্ডের ভিত্তিতে জমি ফজলুল হক এবং আইনুল হকের কাছে বিক্রি করেছিলেন, তখন ফজলুল হক এবং আমিনুল হকের নাম ১৯৯০ সালের বিএস রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত ছিল। দুই ভাই ফজলুল হক এবং আইনুল হক ছিলেন ১৯৭৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কেনা সম্পত্তির ২৭ শতাংশ দখল করে এবং আজ তা পরিশোধ করেনি।
১০আগস্ট, দেখা গেল যে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মানুষ সীমানা প্রাচীরের উপর কাজ করছে। সেই সময়, মন্দির কমিটির লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাদের কাছে একটি মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে, উপস্থিত লোকেরা তা দিতে অস্বীকার করে। ফলে মন্দির কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জমির মূল মালিক ফজলুল হক বলেন, আমরা জমি দখল করছিলাম কিন্তু হঠাৎ মন্দির কমিটির লোকেরা রাতে জোর করে জমি দখল করে এবং একে মন্দিরের জমি বলে দাবি করে। মন্দির কমিটি এ ব্যাপারে লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কিন্তু মন্দির কমিটির লোকেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছিল। আমি এই বিষয়ে ৬ আগস্ট কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কালীগঞ্জ থানার এসআই নাজমুল হক ঘটনাটি পরিদর্শন করেন এবং মন্দির কমিটিকে কাজ বন্ধ করতে বলেন। মন্দির কমিটির লোকেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ চালিয়ে গেছেন।
কাকিনা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির ৮ নং সভাপতি বাবু অশ্বিনী কুমার পাল পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সত্য মন্দির কমিটির লোকেরা জায়গাটি দাবি করেছে কিনা আমি জানি না।” যাইহোক, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি শীঘ্রই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
অন্যদিকে, জমির মূল মালিক ফজলুল হক ও আয়নুল হক ১১ আগস্ট (বুধবার) লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ফলে আদালত জমি সংক্রান্ত ১৮৮ ধারা জারি করেছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এ ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা স্বীকার করে বলেন, “আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর এ ব্যাপারে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
Leave a Reply