শিরোনাম :
মুক্তাগাছায় ৫দফা দাবিতে আদায়ে একই দিনে কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত, খেলাফত ও ইসলামী আন্দোলন। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত সেনা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাপ্রধান টেকনাফে পাহাড়ে যৌথ অভিযানে ৮৪জন ভিকটিম উদ্ধার ; অস্ত্রসহ আটক-৩,পলাতক-২। কালীগঞ্জে বিএনপি’র উদ্যোগে হাট সভা লিফলেট বিতরণ তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যে ভবিষ্যৎ রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের রোডম্যাপ: আমিনুল হক পাইকগাছা (খুলনা) — মটরসাইকেল গ্যারাজের মালিক ৩ বোতল বিষপান করে মৃত্যু; তদন্তের দাবি। গোপালপুরে ৫২তম গ্রীষ্মকালিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন গলাচিপায় আইনজীবীদের টানা ১৪ দিন আদালত বর্জনেও মিলেনি সমাধান আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিত করতে গলাচিপায় প্রস্তুতি সভা কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ: ৭ কর্মকর্তার নামে।

কুয়াকাটায় ভূতে তৈরি করে বিল গ্রাহকরা দিশেহারা

কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রহিম শিকদার
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৮ বার পঠিত

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে দুই থেকে তিন মাসে রিডিং স্পটে না গিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের চেয়ে বেশি ইউনিট দেখিয়ে অতিরিক্ত বিল তৈরি, টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখের পর বিল পত্র পৌছানোর এবং অন্যান্য নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার বেশিরভাগ গ্রাহক, বিশেষ করে গ্রামের সাধারণ মানুষরা।স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রিডাররা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ছয় মাসে বিশেষ করে জুন মাসে গ্রাহকদের বিদ্যুতের ব্যবহার হিসাবের চেয়ে বেশি ইউনিট দেখিয়ে মনগড়া বিল তৈরি করেন। অনেক সময় গ্রাহকরা দিনের পর দিন বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে সঠিক হিসাব চাইলেও কোনো সমাধান পান না।মহিপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সিরাজপুরের বাসিন্দা মোঃ রহমান বলেন আমার আগে বিল আসত 700 থেকে 800 টাকা এ মাসে বিল আসছে ১৮২১ টাকা তারপর আমি সেই কাগজ নিয়ে অফিসে অভিযোগ জানাই তারা সাথে সাথে নতুন কাগজ তৈরি করে ১০৩৬ টাকা বিল বানিয়ে দেয় আমার মত এরকম অনেকেরই বিল বেশি আছে কুয়াকাটা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শামিম হোসেন বলেন, গেল ৮ জুন আমার মিটার থেকে ৬ হাজার ৮১০ ইউনিট রিডিং উঠানো হয়েছে। ২০ দিন পর ২৮ জুন বিল পত্র পেয়েছি। কিন্তু তখন পর্যন্ত আমার মিটারের ইউনিট ব্যবহার ছিল মাত্র ৬ হাজার ৭৭৭। অর্থাৎ ২০ দিন ব্যবহার শেষে আমার ইউনিটের চেয়ে ৩৩ ইউনিট বেশি বিল করা হয়েছে। আগের মাসের আনুপাতিক হিসাব করলে দেখা যায়, প্রায় ১৫০ ইউনিট বেশি বিল করা হয়েছে। সরকার কি আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সাথে এমন বড় প্রতারণা করবে? আমার মতো সমস্যা শুধু আমি নয়, এলাকার সবাই একই সমস্যায় ভুগছি। এটা অবশ্যই সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার হওয়া দরকার।চাপলী এলাকার ভুক্তভোগী মো. ফরিদ বলেন, আমার ঘরে মাত্র একটি লাইট ও একটি ফ্যান চলে। আগে বিল আসত ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে, এবার এসেছে ৯০০ টাকা। মিটার রিডিং অনুযায়ী এত ব্যবহার হওয়ার কথা নয়। এছাড়া রিডাররা তিন মাস বিল তৈরি না করেও, হঠাৎ বিল দেয়। বিদ্যুৎ অফিস থেকে মাইকিং করে ঘোষণা দেয়, বিল না দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এতে অনেকেই জরিমানা সহ বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হন।কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সিফাতুল্লাহ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমরা বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এজিএম মোতাহার হোসেন কমিটির প্রধান। ধুলাসার কাউয়ার চর এলাকা থেকে বেশি অভিযোগ আসায় সেখানের রিডার মো. মোস্তাফিজুর রহমান হিমেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া জনবল সংকট থাকার কারণে সেবায় বিলম্ব হয়েছে, আমরা চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে ভুল এড়াতে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com