বিয়ের পরদিন প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেলেন বধূ। পরে অন্য জেলা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নববধূর মা বাদী হয়ে আজ বুধবার উলিপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ছমির উদ্দিনের ছেলে সামিউল ইসলাম (৩০) এক প্রতিবেশীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। ওই প্রতিবেশীর মেয়েকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ছয় মাস আগে সামিউল ইসলাম ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে মেয়ের পরিবার ঘটনা জানতে পেরে সামিউলের পরিবারকে জানায়। এ ঘটনায় সামিউল ক্ষিপ্ত হয়ে ওই মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেন। মেয়ের পরিবার ভীত হয়ে দ্রুত মেয়েকে গত ২১ জুলাই উলিপুর উপজেলার পৌর শহরের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গত ২২ জুলাই ভোরের দিকে সামিউল ইসলাম নববধূকে শ্বশুর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যান। নববধূর স্বামী সকালে উঠে স্ত্রীকে না পেয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে খবর দেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ২৬ জুলাই পরিবারের লোকজন পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার কাজলদিঘি এলাকার একটি বাড়িতে সামিউলসহ ওই নববধূর সন্ধান পাওয়া যায়।
পরিবারের লোকজনকে সেখানে তাকে উদ্ধার করতে গেলে সামিউল আগেই পালিয়ে যান। এরপর বাড়ি নিয়ে আসার সময় নববধূ জানান, সামিউল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন।
এ ঘটনায় ওই নববধূর মা বাদী হয়ে আজ উলিপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
উলিপুর থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমীন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নববধূকে উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply