 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
তার অনেক পরিচয়, নানা বিশেষণে বিশেষায়িত!! কখনো ব্যবসায়ী, কখনো মানবতাবাদী!!
কখনো উপস্থাপিকা, আবার কখনো ইউটিউবে নানা বিষয়ের বিশ্লেষক-সমালোচক!!
তিনি আর কেউ নন হেলেনা জাহাঙ্গীর!!
কয়েক বছর আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে মনোনয়ন চেয়ে এবং ‘সিস্টার হেলেন’ নামে রাজধানী জুড়ে পোস্টার সাঁটিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। তখন আলোচনা উঠেছিল- কে এই নারী, যে কিনা বাঘা-বাঘা রাজনীতিবিদদের টেক্কা দিয়ে মেয়র হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন! মাদার তেরেসা হওয়ার ব্রত নিয়ে মাঠে নেমেছেন!!
বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে তার বাসায় আটককৃত অবস্থায় হেলেনা জাহাঙ্গীর!!
সে সময় জানা গিয়েছিল তিনি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি এই ব্যবসার সাথে জড়িত স্বামীর সুবাদে। তারপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের পরিচালক হয়েছেন। জয়যাত্রা নামে একটি আইপিটিভি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আইপিটিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদ অলংকৃত করেছেন। যদিও দেশে এই সংগঠনের সরকারি অনুমোদন নেই। আছে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন,যার মাধ্যমে নানা সামাজিক কাজ-কর্ম করেন তিনি। গরীব অসহায়দের পাশে দাঁড়ান, বিতরণ করেন শীতবস্ত্র!!
তিনি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার কিছু দিনের মাথায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যও মনোনিত হন। কুমিল্লা উত্তরের আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার পদও পান তিনি।
নতুন সংগঠন চাকরিজীবী লীগ বানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের পদ হারালেন হেলেনা জাহাঙ্গীর!!
সেই যে সিস্টার হেলেন পোস্টার সাঁটিয়ে তিনি আলোচনার জন্ম দিয়েছেন, তারপর আর থামেননি। রাজনীতিবিদ সেলিব্রিটি, উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তি সবার সাথে সেলফি তুলে সব সময় আলোচনায় থাকতে চেয়েছেন তিনি। ইফতার মাহফিলে গান গেয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। মাহফুজুর রহমানের সাথে গান গেয়ে ঝড় তুলেছেন। পরী মনিকে নিয়ে লাইভ করে আলোচনায় থেকেছেন!!
সম্প্রতি আবারও তিনি আলোচনায়। আলোচনার নাম চাকরীজীবী লীগ। তার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তিনি। অথচ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে এ ধরনের কোনো সংগঠন নেই। শুধু তাই নয়, ফেসবুকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নেতা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তিনি রীতিমত বিস্মিত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাদের। থেমে থাকেননি আওয়ামী লীগও। হেলেনাকে বাদ দিয়েছে এ ঘটনা দলের নেতাদের চোখে পড়ার পরই!!
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর!!
জাতীয়পার্টিির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালদা জিয়ার সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরৈর ছবি আছে। তা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। ছবি আছে আলোচিত প্রতারক সাহেদের সঙ্গেও। প্রভাবশালী এমন কেউ নেই যার সঙ্গে হেলেনার ছবি নেই!!
অনেকেই বলছেন, হাওয়া ভবন থেকেই তার ব্যবসায়ী হিসেবে উত্থান। শীর্ষ নারী উদ্যোক্তার পুরস্কারও পেয়েছিলেন। তারপর রাতারাতি ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়েন। সেই আওয়ীমী লীগও তাকে পরিত্যাগ করলো!!
আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার আগে খালেদা জিয়া, এরশাদের সঙ্গে তার তোলা সেলফিও ভাইরাল হয়!!
বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব তার বাসায় অভিযান চালায়। এর পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয়। র্যাবের দাবি, অভিযানে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় বিপুল পরিমাণ মদ, ইয়াবা আর হরিনের চামড়া পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এরই মধ্যে তাকে নেওয়া হয়েছে র্যাবের হেডকোয়ার্টারে!!
Leave a Reply