শিরোনাম :
সংবাদ প্রকাশের পর দূর্গাপুরে ভুয়া আল আকশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ গণতন্ত্র বনাম রাজনীতি: সংকটে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া রাজশাহীতে বহিষ্কৃত ডিবি হাসানের সহযোগীদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্তির দাবি লালন কণ্ঠ ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে জাতির শোক কালীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভোলায় জলসিড়ি সাহিত্য আসরের চতুর্থ আড্ডা অনুষ্ঠিত । মনপুরায় জেলেকে মারধর, বিচার না পেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি কর্তৃক ৯০ বোতল স্কফ সিরাপ ও ০১টি মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ ০২ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি কর্তৃক ৭৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ বোতল দেশী চোলাই মদ সহ ২ জন গ্রেফতার।

গণতন্ত্র বনাম রাজনীতি: সংকটে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৯ বার পঠিত

আওরঙ্গজেব কামাল : বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বর্তমানে এক অনিশ্চয়তার ঘূর্ণাবর্তে। গণতন্ত্র ও রাজনীতির দ্বন্দ্ব এখন শুধু দলীয় কোন্দল নয়, বরং রাষ্ট্র পরিচালনার বৈধতা নির্ধারণের বড় পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। আসন্ন ফেব্রুয়ারি নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ তুঙ্গে। সরকার বলছে—নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী ফেব্রুয়ারীতে। নির্বাচন কমিশনও প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ করেছে। কিন্তু বিরোধী দলগুলো এখনও প্রশ্ন তুলছে—সরকারি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রভাবমুক্ত নির্বাচন সম্ভব কি না। আর ডাকসু ,ডাকসু নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়েছে সেটা যদি জাতীয় নির্বাচনী হয় তাহলে কি হবে তা তো আপনারাই জানেন। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বর্তমানে এক গভীর অনিশ্চয়তার ঘূর্ণাবর্তে পড়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, বিরোধী দলের অংশগ্রহণ এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার প্রশ্নে জনমনে তৈরি হয়েছে এক ধরনের দ্বিধা ও সংশয়। গত ২০২৪ সালের ১৬ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন মোড় এনে দিয়েছে। এর পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ও কৌশলে গভীর মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। আর নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে নি
আসছে ততই দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধ হয়ে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের মতে, এখন আর পিছু হটার সুযোগ নেই—সংবিধান ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। গত ২০ বছরে দেশে ৯টি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার বলছে—ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালে সময়মতো নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন কমিশনও প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব বলেছন, ২০২৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিরোধী দলগুলো এখনও প্রশ্ন তুলছে, বিশেষ করে ভোট কেন্দ্রে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রভাবমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব কি না। নির্বাচনে হতে হবে ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর) পদ্ধতিতে’- জামায়াত ইসলামী নেতাদের এমন বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা তৈরি করেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। প্রশ্ন উঠছে যে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন পদ্ধতিকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কই আগামী নির্বাচনকে সংকটে ফেলে দেয় কি না। বর্তমান নির্বাচনের পথে রয়েছে এমন দাবী করছেন। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন প্রকল্প চালু রাখা, মেট্রোরেল ও বিদ্যুৎ খাতের সাফল্যকে জনগণ ইতি বাচকভাবে মূল্যায়ন করবে। কিন্তু এর বিপরীতে সাধারণ মানুষের জীবনে মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, ডলারের সংকট এবং মানবাধিকার ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনসাধারণের চরম বিপাকে। এক্ষেত্রে সরকার অবশ্যই সমালোচিত হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে বড় সমস্যা হলো আস্থার সংকট। দলীয় প্রতিযোগিতা যতটা না ভোটে হয়, তার চেয়ে বেশি হয় রাস্তায়। এ কারণে নির্বাচনী সহিংসতা প্রায় অবধারিত হয়ে দাঁড়ায়। এবারও একই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জনগণের মধ্যে প্রশ্ন—ফেব্রুয়ারির ভোট কি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে, নাকি আরও এক দফা রাজনৈতিক সংঘাত ডেকে আনবে? শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সাধারণ ভোটারদের মধ্যে দ্বিধা স্পষ্ট। তারা যেমন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়, তেমনি শান্তিপূর্ণ পরিবেশও চায়। একজন রাজনৈতিক গবেষকের ভাষায়:
“বাংলাদেশে নির্বাচন এখন শুধু দলীয় ক্ষমতার পালাবদল নয়, বরং গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের বিশ্বাস টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। যদি মানুষ মনে করে তাদের ভোটের কোনো মূল্য নেই, তবে গণতন্ত্র থাকবে কাগজে, জীবনে নয়।সরকারের আত্মবিশ্বাস বনাম বিরোধী দলের অবিশ্বাস—এই দ্বন্দ্বই ঠিক করে দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া সামনে কোন পথে যাবে। গণতন্ত্র নাকি রাজনীতি—কোনটা জিতবে, সেটিই এখন জাতির বড় প্রশ্ন। আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না—এ প্রশ্নে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ মানুষ উভয়েই অনিশ্চয়তায়। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারায় ১৯৭৩ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৯টি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ভোট প্রক্রিয়া প্রায়শই রাজনৈতিক সংঘাত, প্রশাসনিক প্রভাব এবং সহিংসতার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
আমি গ্রাম থেকে শুরু করে
শহর ও গ্রাম থেকে সাধারণ ভোটাররা নির্দ্বিধায় চায় সুষ্ঠু ভোট যেখানে থাকবে না কোন প্রকার দুর্নীতি। এ বিষয়ে রাজধানীর বাসিন্দা ইউনুস আলী বলেন, “আমরা চাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে, কিন্তু বারবার সহিংসতা ও রাজনৈতিক চাপ আমাদের আস্থা কমাচ্ছে। চট্টগ্রামের সাংবাদিক নুরুদ্দীন পাটোয়ারী মন্তব্য করেন,ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভোটারদের মতামত শুনবে ।রাজনীতিবিদদের বক্তব্য ভিন্ন সময় ভিন্ন ভাবে কথা বলছে। অধিকাংশ সময়
ভ্ন্নি ভাবে যে যারমত করে দলের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন বা মতামত দিচ্ছেন। সরকারি পক্ষের শীর্ষ রাজনীতিক দাবি করছেন, “নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, সময়মতো এবং স্বচ্ছভাবে। ভোটাররা তাদের ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত গঠন করবেন। বিরোধী দলের নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন,জাতীয় নির্বাচন যেন ডাকসু,জাকসুর মত না হয়। “আমরা দেখতে চাই ভোট প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক প্রভাব এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম কেমন হবে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পরিবেশ না থাকলে আমরা অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারব না। বর্তমানে নির্বাচনী সমস্যা ও দ্বন্দ্ব ক্রমেই গুরুত্বর হয়ে উঠেছে। এই নির্বচনে কি আওয়ামীলীগ অংশ গ্রহন করতে পারবে? আর যদি না পারে তাহলে কি আন্তর্জাতিক কোন সমস্যা হবে কিনা। বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রধান সমস্যা হলো আস্থা ও স্বচ্ছতার অভাব। প্রশাসনের প্রভাব, সহিংসতা, কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা, ভোট কার্ড বিতরণ এবং ভোটারদের উপস্থিতি—সবই বারবার দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিক্ষোভ ও হরতালের প্রেক্ষিতে এই আশঙ্কা আরও প্রকট হয়েছে। বর্তমানে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা উঠেছে । সাধারন মানুষ এখনো বুঝতে পারছেনা যে ভোট কি বাবে হবে। এবারের ভোট পিয়ার বা বিশেষ পদ্ধতিতে , না সাধারণ নিয়মে অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে—ভোটারদের নাম তালিকা, ভোট কার্ড বিতরণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপডেট করা হচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ভোট কার্ড ছুটি বা বিলম্বের সম্ভাবনা নেই। আমি যদি একটু পিছনে থেকে আলোচনা করি তাহলে ইতিহাস ও পরিসংখ্যান থেকে জানাযায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সাধারণ নির্বাচন: ৯টি। ভোটার উপস্থিতি: সর্বশেষ নির্বাচন (২০১৮) ৭১%। ভোট কেন্দ্রের সহিংসতার অভিযোগ: ৫০০+। সরকারের জিডিপি বৃদ্ধির হার (২০২৫): ৬.২%। ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) বৃদ্ধি: ৯.১%। বেকারত্বের হার: ৪.৫%। আপনারা হয়তো বলতে পারেন এ সব কেন বলছি। এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আমাদের কি সমস্যা হয় সেটা বুঝানোর জন্য।
বিগত তিন জাতীয় নির্বাচনের সহিংসতার চিত্র :
১। দশম জাতীয় নির্বাচন – ২০১৪
সহিংসতার তীব্রতা সবচেয়ে বেশি ছিল নির্বাচনের দিন ও তার আগে।
অন্তত ১৮–২১ জন নিহত হয়েছিলেন।
বহু ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ, ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়া এবং ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
বিরোধী দলের বয়কটের কারণে সহিংসতা অনেকটা একতরফা দমনমূলক রূপ নিয়েছিল।
২। ১১তম জাতীয় নির্বাচন – ২০১৮
নির্বাচনী প্রচারাভিযান থেকে শুরু করে ভোটের দিন পর্যন্ত সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা ঘটে। কেবল নির্বাচনের দিনেই অন্তত ১৮ জন নিহত হন এবং ২০০-র বেশি আহত হন। নির্বাচনী সহিংসতায় মূলত সংঘর্ষ হয়েছিল ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে বিরোধী জোটের প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে।ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, বিরোধীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছিল তীব্র।
৩। ১২তম জাতীয় নির্বাচন – ২০২৪
নির্বাচনের আগে ও পরে ৭৫২টি সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে (মানবাধিকার সংগঠন HRSS এর তথ্য অনুযায়ী)। এই সহিংসতায় মোট ১৭ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সাধারণ ভোটারও ছিলেন। প্রচার চলাকালীন হামলা, ভাঙচুর, গ্রেফতার, এবং ভোটের দিন সংঘর্ষ—সব মিলিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের ভয়-আশঙ্কা তৈরি হয়।বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের সফলতা নির্ভর করবে সরকারের স্বচ্ছতা, বিরোধী দলের অংশগ্রহণ, এবং ভোটারদের আস্থার উপর। এবারের নির্বাচন কেবল ক্ষমতার পালাবদল নয়, বরং গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা পরীক্ষা।যদি মানুষ মনে করে তাদের ভোটের কোনো মূল্য নেই, তবে গণতন্ত্র কেবল কাগজে থাকবে, বাস্তবে নয়। রাজনৈতিক গবেষকরা বলছেন ফেব্রুয়ারি ২০২৬ এর নির্বাচন হবে কি না, সেটিই এখন দেশের বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। সরকারের আত্মবিশ্বাস বনাম বিরোধী দলের অবিশ্বাস—এই দ্বন্দ্ব নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ। যে খানে সরকার এখনো সংস্কার গুলি ঠিক করতে পারেনি। এখন আমার আর একটি প্রশ্ন আগামী নির্বাচনে কোন সহিংসতা এড়ানো সম্ভাব কি না।স্বাধীনতা পরবর্তী নির্বাচনী সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের পরিসংখ্যান ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন
নিহত: কমপক্ষে ১৫ জন
আহত: ৫৬০ জনেরও বেশি
ঘটনা: বিরোধী দলের প্রার্থীদের ওপর হামলা, কেন্দ্র দখল, এবং সহিংস সংঘর্ষ
সূত্র:
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
নিহত: কমপক্ষে ১৭ জন
আহত: ২,৫৩৪ জনেরও বেশি
ঘটনা: ভোট বর্জনকারী ভোটারদের ওপর হামলা, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ হয়েছে। এসব নির্বাচনে অনেক সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তবে নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান বলার অপেক্ষা রাখে না। সে সময়ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, এবং অর্থনৈতিক সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছিল।
নির্বাচনকালীন প্রশাসনিক প্রভাব ও নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা সহিংসতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আমরা জানি
আস্থা সংকটের কারণে সহিংসতার ঘটে
ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ফলাফলের প্রতি আস্থার অভাব সহিংসতার একটি প্রধান উৎস।
বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা একটি দুঃখজনক বাস্তবতা। নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র এই উপাদানগুলোর সমন্বয়ে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তাই এখন মূল প্রশ্ন—গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষ হবে এবং জনগণ কতটা আস্থা ফিরে পাবে। অন্যথায় গণতন্ত্র ও রাজনীতির এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্রকেও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। জনগণের প্রত্যাশা একটাই—যে নির্বাচন হবে তা যেন সত্যিকার অর্থেই অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়। নচেত ৫ই আগস্টের অভ্যুত্থানের পর যে গণআকাঙ্ক্ষার জন্ম হয়েছে, তা অপূর্ণ থেকে যাবে।
লে
খক ও গবেষক
আওরঙ্গজেব কামাল
সভাপতি, ঢাকা প্রেসক্লাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com