খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে পা বেঁধে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর ২ টার দিকে গলাচিপা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের টেক্সটাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি হাসান হাওলাদারের বাসায় প্রবেশ করে হঠাৎ করে তার এক শিশুসন্তানকে নিয়ে দৌড় দেন। বিষয়টি টের পেয়ে হাসানের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ডাক-চিৎকার করলে শিশুটিকে ছেড়ে দিয়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। এসময় উৎসুক জনতা তাকে আটক করে পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে।
খবর পেয়ে গলাচিপা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। পরে জানা যায়, তার নাম কবির মৃধা (৩০) তিনি দশমিনা উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জৌতা গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী-সন্তান নেই এবং দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান বলেন, “কবির মৃধা মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে না পেরে ভুলবশত ছেলেধরা সন্দেহে তাকে মারধ করেছে।”
জৌতা গ্রামের বর্তমান মেম্বার আতিকুর রহমান মৃধা বলেন, কবির তার চাচাতো ভাই এবং তিনি দীর্ঘদিন মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
ঘটনার পর কবিরকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন মানসিক রোগীকে এভাবে নির্যাতন করা অমানবিক কাজ। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানান।