খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপায় সেনাবাহিনী কর্তৃক ধৃত প্রতারণার মামলার আসামীকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার সাগরদী রোডস্থ ৫নং ওয়ার্ডের মো. আবুল বশার প্যাদার স্ত্রী মোসা. মাহমুদা বেগম অভিযোগ করে জানান বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চালিতা বুনিয়া গ্রামের মৃত আ. রব হাওলাদারের পুত্র এইচএম নেছার আহমেদ @ কুদ্দুস (৪৮) এ/পি সাং রূপাতলী, পার্ট কাওসার ম্যানসন আ. হামিদ খান সড়ক, ২৪নং ওয়ার্ড, বিসিসি, থানা-কোতয়ালী, জেলা-বরিশাল। তার সাথে গত ১৫ এপ্রিল পটুয়াখালী আদালতের সামনে বসে তাদের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে কুদ্দুস বলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের অফিসের লোকের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সেই সুবাদে মাহমুদার বোনের কন্যা সাথী আক্তারকে সরকারি চাকরী দেওয়ার কথা বলে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড হোটেলে বসে নগদ ১ লক্ষ টাকা নেয় এবং আরও ৬ লক্ষ টাকা দাবি করে।
পরবর্তীতে আরও ২ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো চাকরি না দিয়ে উল্টো নানা টালবাহানা শুরু করে।
গতকাল ২১ আগস্ট কুদ্দুস গলাচিপা এসে আবাসিক হোটেল আল-মামুনে অবস্থান নিয়ে মাহমুদার কাছে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে। মাহমুদা তার কাছে এসে কথাবার্তা শুনে সন্দেহের সৃষ্টি হইলে বিষয়টি গলাচিপায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর শরণাপন্ন হইলে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করে গলাচিপা থানায় সোপর্দ করে।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গলাচিপা থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার বিষয়ে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমান পাওয়া যাইতেছে। আসামী কুদ্দুস এর বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ আমলে নিতে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে আসামী কুদ্দুস অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক। তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর জন্য এ মামলা সাজানো হয়েছে।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, প্রতারণার এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। তারা দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।