খন্দকার জলিল – স্টাফ রিপোর্টার :
পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার ফেরীঘাটে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ শয্যা মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মিত হওয়ার দুই বছর পরেও চালু হয়নি চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। সরকারী ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি কোন চিকিৎসক বা নার্সদের। দেওয়া হয়নি কোন ফার্নিচার বা আসবাবপত্র।
স্থানীয় অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র থেক এমবিবিএস ডাক্তার আতিকুর রহমান এবং কয়েকজন কর্মচারীকে এ হাসপাতালে দেওয়া হলেও গত নভেম্বর মাসে ডা: আতিকুল রহমান বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পর থেকে হাসপাতালটি প্রায় সময় বন্ধ থাকে। যাহাতে ব্যহত হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের চিকিৎসা সেবা।
স্থানীয় সাধারন জনতা গত (১২মে) সোমবার সকাল ৯টায় এমবিবিএস ডাক্তার এবং নার্স নিয়োগের দাবিতে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় এখানে সিজারিয়ান অপারেশনের করার কথা থাকলেও আমরা সে সেবা নিতে পারছি না। মাঝে মাঝে দুএকজন কর্মচারীদের দেখতে পেলেও তাদের কাছে কোন রোগী গেলে পারছেন না তাদের কোন চিকিৎসা করাতে পাইতেছেন না কোন ঔষধ।
এব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান সরকারী ভাবে হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়নি এবং কোন চিকিৎসক বা জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
কোন ফার্নিচার বা কোন আসবাবপত্র তাও দেওয়া হয়নি। চিকিৎসক এবং অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মস্ত্রনালয়ে আবেদন করেছি কিন্তু হাই কোর্টে মামলা থাকার কারনে আপাতত নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ আছে। দ্রুত ভাবে এমবিবিএস ডাক্তার এবং নার্সসহ জনবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে আস্বস্ত করেন।
Leave a Reply