খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার
গলাচিপা উপজেলার অন্যতম পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিপিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫ সালে পূন: প্রতিষ্ঠিত হয়। যা বর্তমানে কলেজ এ্যাড হয়ে বিপিসি স্কুল এন্ড কলেজ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পূর্বের অনেক দক্ষ শিক্ষক অবসরে চলে যাওয়ার শিক্ষার মান ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হতে চলছে।
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক হতাশা ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৯ জন পাশ করেছে। যা পাশের হার দাঁড়ায় মাত্র ১৬.৩৬ শতাংশ।
এমন ফলাফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেক অভিভাবক অভিযোগ করছেন, বিদ্যালয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষক সংকট, নিয়মিত পাঠদানের অভাব এবং প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনাই এ চরম ব্যর্থতার মূল কারন।
অধিকাংশ অভিভাবক বলেন আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য এখানে পড়াতে দিয়েছি। কিন্তু এই ফলাফল প্রমান করে স্কুল কর্তপক্ষের দায়িত্বহীনতা চরমে পৌছে গেছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রতিষ্ঠানের একজন সিনিয়র শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান অদক্ষ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারনে ফলাফল নিচের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায় গলাচিপা উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তারা খুব শিঘ্রই নিম্নমুখী পাশের হার স্কুলগুলো পরিদর্শন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।