পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গুয়াবাড়িয়া গ্রামের রানা বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে বিভিন্ন প্রকারের ফলন গাছ কাটা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার যানান।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকের সাথে কথা বলে যানা যায় মৃত বিমল রানার স্ত্রী কমলা রানীর কোন পুত্র সন্তান নেই তার শুধু ৬টি মেয়ে এবং কমলা রানী তাদের সকলকেই কষ্ট করে বিবাহ দেন। তিনি খুব সরল সোজা মানুষ। কমলা রানী সাথে পাশের বাড়ির যাদব চক্রবর্তী সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলতেছে, তারা আরো যানায় দুই বছর আগ থেকেই এই ঝামেলা চলে আসছে এবং অনেক বার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিরা ও ইউপি সদস্যরা সালিশ মিমাংসার জন্যে বসলেও তার কোন সুরহা করতে পারনি। ইউপি মেম্বার নিখিল মোল্লার কাছে এই বিষয় জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোন জানান যাদব চক্রবর্তী কারো কথা শুনেনা ও কাউকে তোয়াক্কা করেনা। উত্তর ছোনখোলা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মজুমদার এর সাথে কথা বলে যানা যায় বিগত দিনে এই দুই পরিবারের সাথে জায়গা জমি নিয়ে একটা মামলা হয়েছিলো সেই মামলা নিম্ন আদালত গ্রাম্য আদালতে পাঠান এবং চেয়ারম্যান নোটিস দিয়ে দুই পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে হাজির করেন কিন্তুু উভয় পক্ষই কোন কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় মৃত বিমল রানার স্ত্রী কমলা রানীকে ও যাদব চক্রবর্তীকে কাগজ পত্র নিয়ে এক মাসের মধ্যে পুনরায় দেখা করতে বলেন, করোনার কারনে কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে একটু দেরি হয়। এদিকে যাদব চক্রবর্তী ও তার ছেলে ১৬ই আগষ্ট কমলা রানীর ভিটে বাড়ির পুকুর পারে গাছের বাগানে থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ফলন গাছ কেটেছে। শৈলেন নামে একজন যানান তাৎক্ষনিক চেয়ারম্যানকে যানানোর জন্য ফোন করি চেয়ারম্যানকে না পেয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানকে জানাই। ভুক্তভোগী কমলা রানী বলেন যাদব চক্রবর্তী ও তার ছেলে কৃষ্ণ চক্রবর্তী আমার পুকুর পারে বাগানে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ থেকে ৩৫ টি ফলন গাছ জোর করে কাটছে এবং এরা আমাকে মারধর করতে আসে ও আমার স্বামীর ভিটিতে থাকতে দিবেনা বলে হুমকি দেয়। আমি একজন বিধবা অসহায় মানুষ তারা আমার উপর অনেক অত্যাচার করে আমি এর বিচার চেয়ে গলাচিপা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটা মামলা করি মামলা নং ৫২০/২০২১। এ বিয়য়ে যাদব চক্রবর্তী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমায় জায়গা আমি গাছ কেটেছি, তারা যদি কাগজে পায় তাহলে আমি দিয়ে দেব।