
খন্দকার জলিল, পটুয়াখালী জেলা ব্যুরো প্রধান
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতা হাসান মামুনকে গ্রীন সিগনাল না দেওয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশান কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। তবে ওই তালিকায় পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে দলের দুঃসময়ে পাশে থেকে সংগঠনকে সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন হাসান মামুন। আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে তার নিবেদন ও নেতৃত্বের কারণে তিনি তৃণমূল কর্মীদের কাছে একজন নির্ভরযোগ্য নেতা হিসেবে পরিচিত। ফলে তার নাম তালিকায় না থাকায় অনেকেই এটিকে অবিচার হিসেবে দেখছেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক আবেগঘন পোস্টে হাসান মামুন “গলাচিপা-দশমিনা নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারন করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তার এই আহ্বান মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। অসংখ্য নেতাকর্মী মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন—দলীয় আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া একজন ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাকে উপেক্ষা করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, দীর্ঘদিনের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে বাদ দেওয়া মানে ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করা। এতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ, অনেকেই প্রকাশ্যে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, গলাচিপা-দশমিনা বিএনপির রাজনীতিতে হাসান মামুনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকে বাদ দিলে আসনটিতে দলের সাংগঠনিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। অনেকে আবার মনে করছেন, তৃণমূলের দাবির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। চূড়ান্ত তালিকায় হাসান মামুনের নাম যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Leave a Reply