গাইবান্ধার জেলা ব্যুরো প্রধান, রানা ইস্কান্দার রহমানঃ- গাইবান্ধা ডি.বি. রোড, গানাসাস মার্কেটের সামনে শনিবার অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাবু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জনি, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) সদস্য মৃণাল কান্তি বর্মণ, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, শহিদুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী মুসা, ওমর হাবীব বাদশা, জাহাঙ্গীর কবির তনু, মানবাধিকার নাট্য পরিষদের আলম মিয়া, সাকোয়া ব্রিজ বাস্তবায়ন মঞ্চের আহবায়কএ্যাড. কুশলাশীষ চক্রবর্তী, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক, এ্যাড. ফারুক কবির, এ্যাড. সাঈদ আহমেদ আজাদ, নারী নেত্রী নাজমা বেগম, রোকাউনদ্দৌলা, আশরাফুল আলম মিলন প্রমুখ।
গাইবান্ধার সাবেক জেলা প্রশাসক ড. কাজী আনোয়ারুল হক জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সাঁকোয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল ইপিজেড করার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ষড়যন্ত্রকারী মহল তৎকালীন জেলা প্রশাসকের প্রস্তবনা ধামাচাপা দিয়ে বিরোধপূর্ণ এবং গাইবান্ধা জেলার দিনাজপুর সংলগ্ন এলাকার একটি জায়গায় ইপিজেড করার পাঁয়তারা করছে। অথচ সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড নির্মিত হলে বিনিয়োগকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। কারণ, এখানে ইপিজেড নির্মিত হলে রাজপথ, রেলপথ, নৌপথ, হেলিপ্যাড ব্যবহারের সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। এ ছাড়া সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সাদুল্যাপুর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার মানুষসহ আশপাশের জেলার কর্মজীবী মানুষ ইপিজেডে সহজে যাতায়াত করতে পারবে।
বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা বালাসিঘাটে ব্রহ্মপুর টানেল নির্মাণ, গাইবান্ধায় মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন দাবী জানান। সেই সাথে ব্রহ্মপুত্র নদীতে বিআইডাবিøউটিএ ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বালাসি ঘাট ও বাহাদুরাবাদে টার্মিনালসহ অবকাঠামো নির্মাণে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়কারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। এছাড়াও গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে দুস্কৃতিকারী দ্বারা লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ জানানো হয় এবং দোষীদের শাস্তি দাবী করা হয়।