
বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ের সর্বপ্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলার অধ্যাপক,সুজন( সুশাসনের জন্য নাগরিক )-এর গোপালপুর উপজেলা সভাপতি,শত শিক্ষকের শিক্ষক,সাংস্কৃতিক ও নাট্যব্যক্তিত্ব প্রয়াত অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তীর স্মরণ সভা গোপালপুর সূতী ভি.এম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে ৮ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। সুজনের আয়োজনে গোপালপুরের পিএফজি(হাঙ্গার প্রজেক্ট)-এর সহযোগিতায় সভায় সভাপতিত্ব করেন পিএফজির পিস এম্বাসিডর সদস্য মো: শাহজাহান আলী ভিপি। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক অধ্যক্ষ ও পৌর মেয়র খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল। পিএফজি এম্বাসিডর সদস্য ও বিএমজিটিএর টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি সহ:অধ্যাপক কে.এম শামীমের সঞ্চালনায় প্রয়াত অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তীর বর্ণাঢ্য যাপিত জীবনের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরে উপস্থিত সকলে তাদের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন।এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুজন গোপালপুর উপজেলা সম্পাদক মাহবুব রেজা সরকার আতিক। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাসাস-এর উপজেলা সভাপতি ও প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মো: শাহানুর আহমেদ সোহাগ,সুজন-এর সাবেক সভাপতি,গোপালপুর কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অমূল্য চন্দ্র বৈদ্য,বিএমজিটিএ গোপালপুর উপজেলা সভাপতি ও প্রেসক্লাব সম্পাদক অটল শরিয়ত উল্লাহ্,পিস এম্বাসিডর সদস্য ও বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের জেলা সভাপতি কবি আনজু আনোয়ারা ময়না,ভুঞাপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পিস এম্বাসিডর সদস্য মো: শাহ আলম প্রামাণিক, বৈরাণ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি কবি খালেক মাহমুদ,বৈরাণ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তীর জ্যেষ্ঠ পুত্র বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী,সুজন গোপালপুরের সহ-সভাপতি ও গোপালপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো: মোজাম্মেল হোসেন, গোপালপুর পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো: রমজান আলী,ওলামা দলের সভাপতি হাজ্বী মো: বোরহান উদ্দিন, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি খন্দকার মো: জামাল হোসেন জামালী, ৫ নং ওয়ার্ড পৌর বিএনপির সভাপতি খন্দকার বেলায়েত হোসেন,এরিয়া সমন্বয়ক মো: আতিকুর রহমান সুমন, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ইউনিয়ন সমন্বয়ক মো: বিপ্লব হোসেন, বিএমজিটিএ উপজেলা সম্পাদক মো: আশরাফ আলী,জেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো: নুরুল ইসলাম টিটু, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মো: মনসুর রহমান প্রমুখ। উপস্থিত বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন বাণী স্যার ছিলেন টাঙ্গাইলের শিক্ষা,সাহিত্য,সংস্কৃতি ও ক্রীড়া জগতের এক অবিসংবাদিত নাম।তিনি শুধু কলেজের ক্লাসরুমে নয় তিনি ৫৩ বছরের শিক্ষকতা জীবনে ছাত্রদের প্রতি ছিলেন গুরুর মতো দায়িত্বশীল ও স্নেহময়।তিনি ছাত্রদের মননশীলতা, মূল্যবোধ,বুদ্ধিমত্তা,নৈতিকতা ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অধিকাংশ সময় ব্যয় করেন।তিনি শিক্ষাকে কেবল পাঠ্যপুস্তকের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখতেন না। শিক্ষাকে তিনি জীবনমূখী করেছিলেন।তাঁর পাঠদানের ধরণ ছিল শৈল্পিক অভিনয়সমৃদ্ধ,অনুপ্রেরণামূলক,উপভোগ্য ও বোধগম্য।শিক্ষার্থীরা তাকে শুধু শিক্ষক বা অধ্যাপক হিসেবে নয় বরং একজন পরামর্শদাতা,দিক নির্দেশক,বন্ধু এবং জীবনের পথ প্রদর্শক হিসেবে মনে করতেন। শিক্ষা ও জ্ঞানের পাশাপাশি বাণী স্যার ছিলেন অনন্য প্রতিভাবান ও বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী।শিল্প-সংস্কৃতি, সাহিত্য,সঙ্গীত ও ক্রীড়ার প্রতি ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ ও প্রেম।তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ছিলেন এক বটবৃক্ষের মতো অভিভাবক। বাণী স্যারের মানবিকতা,অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও উদার মনোভাব ছিলো সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য।তিনি স্থানীয় স্কুল,কলেজ ও প্রশাসনিক পর্যায়ের যে কোনো সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ছিলেন। উপস্থিত সকলে প্রয়াত অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তীর আত্মার শান্তি কামনা করেন।
Leave a Reply