
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের আলম-নগর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূর উপর তার স্বামী অমানুষিক নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম ইসমতআরা বেগম (২৫) অভিযুক্ত স্বামীর নাম মোঃ আব্দুল আলী( ২৫)। নির্যাতিতা একই ইউনিয়নের বড়বন হাওর গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে।
গৃহবধূ বলেন আমরা উভয়ে বিগত ৫ বছর পূর্বে কাবিন নামার মাধ্যমে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর হতে অদ্যবধি সে কোন ধরনের ভরণ পোষণ দেয় নাই এবং আমার নিকট বিভিন্ন সময় যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করলে আমি দিতে অপারগতা স্বীকার করলে মারধর, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের মাত্রা অসহনশীল হওয়া বাধ্য হয়ে ২ বছর পূর্বে আমার পিত্রালয় হতে যৌতুক হিসেবে কিছু টাকা এনে দেই, এতেও সে ক্ষেন্ত হয়নি। তার আরও টাকা প্রয়োজন সে আবারও আমার উপর নির্যাতন চালিয়ে যায়। আমি এই কথাগুলো কাউকে জানালে আমাকে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি ধমকি প্রদান করে। আমার স্বামী তার মা-বাবা ও ভাই এর প্ররোচনায় নিত্য দিন যৌতুকের জন্য আমার উপর নির্যাতন চালায়। আমি যৌতুকের টাকা দিতে না পাড়ায় সে এখন নিয়মিতই নির্যাতন করে। আমাদের সংসার জীবনে তিন বছরের (১জন) মেয়ে সন্তান রয়েছে বর্তমানে তাকে নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করিতেছি।
নির্যাতনের শিকার ইসমতআরা বেগম’র বাবা বাদী হয়ে ০৯ আগস্ট সোমবার গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগে বলেন, আমার মেয়ে তিন বছরের (মেয়ে) সন্তানের কথা ভেবে সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করে। এখন আর পারছে না।
আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র দেব জানান নির্যাতিত গৃহবধূর বাবা আইয়ুব আলী’র একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পাওয়া মাত্র তাৎক্ষণিক গোয়াইনঘাট থানার এসআই লিটন রায়, ও এএসআই মারুফ আল মুকিত সহ সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে নির্যাতনকারী স্বামীকে আটক করে। মামলায় অভিযুক্ত আরও আসামীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply