
মোঃ বাবুল ময়মনসিংহ জেলা ব্যুরো প্রধান ছাত্রদল নেতা আবির নিহত, আহত ৮ — এলাকায় অস্থিরতা মিছিল ঘিরে উত্তেজনা, ধাক্কাধাক্কিতে সংঘর্ষ দোকানপাট বন্ধ, ভাঙচুর হয়েছে শতাধিক প্লাস্টিক চেয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ টহল ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে সংঘর্ষে উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তানজিম আহম্মেদ আবির (২৮) নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে পৌরসভার ব্যস্ত সড়কসংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে আরও কমপক্ষে ৮ জন আহত হন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নিহত আবিরের মরদেহ সন্ধ্যায় হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল রাজনৈতিক কেন্দ্রেই স্থানীয় সূত্র জানায়, বিএনপির আহ্বায়ক ও মনোনয়ন বঞ্চিত হিরন সমর্থিত গ্রুপ এবং ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেনের গ্রুপ—দুই পক্ষের মধ্যেই নেতৃত্ব ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ নির্বাচনের প্রাক-মুহূর্তে তীব্র আকার ধারণ করে। শনিবার দুপুরে হিরনপন্থী মিছিল শহরের কেন্দ্রীয় রাস্তা অতিক্রমকালে ইকবালপন্থীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির সূত্র ধরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়, যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর, দোকানপাট বন্ধ ,ঘটনার সময় রাস্তার পাশে থাকা শতাধিক প্লাস্টিক চেয়ার, চায়ের দোকানের টেবিল ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকান বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে চলে যান। এলাকায় হঠাৎ হৈচৈ শুনে দেখি সবাই দৌড়াদৌড়ি করছে। দোকান বন্ধ করে পালাই। চেয়ার টেবিল কিছুই আস্ত থাকেনি। নিহত আবিরের পরিবারে শোকের মাতম ,নিহত আবিরের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন ও মানুষকে সাহায্য করত। রাজনীতি করত মানুষের জন্য। আজ আমার ঘরটা অন্ধকার হয়ে গেল। এক সহপাঠী বলেন—ও ছিল সক্রিয়, দায়িত্বশীল। তার মৃত্যু সংগঠনের জন্য বড় ক্ষতি। হাসপাতালে স্বজনদের ভিড়, উদ্বেগ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানান—আহতদের মধ্যে কয়েকজনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। একজন এখনও সংকটাপন্ন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান, গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন—পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের সতর্কতা , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান—ঘটনার পর থেকে পুরো পরিস্থিতি তদারকি করা হচ্ছে। যাতে আর কোনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি না হয় সেজন্য টহল জোরদার রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি,স্থানীয় বাজারে মানুষের সংখ্যা কম রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের অনেকেই এলাকা ত্যাগ করেছেন সাধারণ মানুষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে উদ্বিগ্নতা গৌরীপুরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব সংকটের জেরে ঘটে যাওয়া এই সহিংসতা শুধু একটি প্রাণহানিই ঘটায়নি—এটি স্থানীয় রাজনীতির স্থিতিশীলতাকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমন্বিত উদ্যোগ এখন অতীব প্রয়োজন।
Leave a Reply