ব্র্যাক একটি গ্রাহক নন্দিত ক্ষুদ্রঋণ সঃস্থা কিন্তু এই এনজিওর কিছু অসাধু কর্মীর কারণে এর সুনাম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
চট্টগ্রামস্থ পাহাড়তলী সাগরিকা ব্রাক কার্যালয়ের মাহমুদা খানম নামে এক এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
গ্রাহক হয়রানি সহ শুরু করে গ্রাহকদের সাথে অভিনব কায়দায় ছলচাতুরি করে লোন দিবে বলে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই মাহমুদা খানম।
তিন বছর ধরে সাগরিকা ব্রাঞ্চে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাহমুদা।
এর আগে তিনি বেশ প্রশংসার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবত গ্রাহকদের সাথে কৌশল বিনিময় করে তাদেরকে লোন পাওয়াই দিবে বলে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা যায় ।
এই ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ মাতৃজগত পত্রিকার সরেজমিন পর্যবেক্ষণে উঠে আসে।
এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা তাদের আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
মাতৃ জগত পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সাগরিকা ব্রাঞ্চে এই তথ্য জানতে চাইলে সদ্য যোগ দেওয়া ম্যানেজার সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং মাহমুদা খানম এর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
ভুক্তভোগী মোঃ আলমগীর এর সাথে কথা বললে তিনি জানান মাহমুদা খানম তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কফি আড্ডায় আমন্ত্রণ জানান এবং লোন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ।
পরবর্তীতে লোনের কথা বললে তাকে প্রায় ছয় মাস ধরে হয়রানি করে আসছেন এবং এই ধরনের আরো অনেকের সাথে ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ হেড অফিস যেন অতিসত্বর গ্রাহক হয়রানি বন্ধে এইসব কর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ব্রাক সংস্থার সুনাম রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।