ইমরান খান-স্টাফ রিপোর্টারঃ

নবান্ন উৎসব এ যেন বাঙ্গালী জাতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।যাকে বাদ দিয়ে চলতে পারে না বাংলার কৃষক সমাজ।উচ্চগ্রামের প্রতিটা পাড়ায় পাড়ায় বর্তমানে চলছে নবান্ন উৎসবের আমোজ।ধুমধামে পালন হচ্ছে বাঙ্গালী জাতির ঘরে ঘরে এ ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, উচ্চগ্রাম এর প্রতিটা ঘরে ঘরে বর্তমানে চলছে এ উৎসব।সকলে মোড়ক সহ বিভিন্ন হাস,মুরগি ও গরু মাংস দিয়ে পালন করছে এ নবান্ন উৎসব। ঘরে ঘরে ইমামদের দ্বারা পালন হচ্ছে কুরআন তিলাওয়াত ও দোয়া মাহফিল।এ যেন এক বাঙ্গালী জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগত আনন্দময় রীতি।

উচ্চগ্রাম এর হুজুর রব্বানী জানান,আমি সময় দিতে পারছি না নবান্ন উৎসবে,প্রতিটা ঘরে ঘরে চলছে উচ্চ গ্রাম এর মানুষের প্রতিনিয়ত এ আয়োজন। আর খাওয়া কী বলবো প্রতিটা ঘরে ঘরে প্রতিদিন ৩-৪ টা দাওয়াত তো আসেই আর এতে যে পরিমাণ খাওয়া খাই তা খেয়ে মনে হয় আগের চেয়ে ১০ কেজি বেশি ওজনের হয়ে গেছি।তিনি আরো বলেন, “আমি সবসময় উচ্চ গ্রাম এর সর্ব স্তরের কৃষকদের জন্য দোয়া করি আগামীতে যেন তারা আরও ভালো ফলন আল্লাহর রহমতে পেতে পারে।

উচ্চ গ্রাম এর কৃষক মকবুল বলেন,” আমি এবার ১৩ বিঘা জমিতে আমন ধান ফলিয়েছি এতে আল্লাহর রহমতে বিঘা প্রতি ২৬-২৭ মন ধান পেয়েছি এতে আমার ১৩ বিঘা জমিতে আয় হয়েছে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মত যা এক অদ্ভুত কাহিনি। আমার খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ১৪ হাজার আর মোট ১ লক্ষ ৮৪ হাজার এর মত এতে আমার অর্ধেক এ লাভ।যা এবার আমাদের কৃষকদের জন্য আনন্দ ময় মুহূর্ত। আমাদের উচ্চ গ্রাম এর প্রতিটা ঘরে ঘরে এবার সফলতার হাসি। এর ফলে ফলন নিয়ে আগের চেয়ে এবার আমাদের কষ্ট অনেক কম তাই আনন্দের সহিত অতি সহজে ধুমধামে পালন করতে পারছি এ উৎসব।

এ নবান্ন উৎসব সাধারণত বাংলা পহেলা অগ্রহায়ণ তারিখে পালিত হয়,যা নতুন আমন ধান কাটার পর এই উৎসবের মাধ্যমে নতুন চালের ‘নবান্ন’ বা নতুন অন্ন উৎসর্গ করা হয়।এতে গ্রামের মুরব্বি ও ইমাম হুজুরদের দাওয়াত দিয়ে প্রতিটি চাষির ঘরে পালিত হয় এবং দোয়া করা হয় ভবিষ্যতে যেন আরো ভালো ফলন কৃষকেরা পেতে পারে এজন্য।।

নবান্ন উৎসব হলো সাধারণত নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে তৈরি চাল দিয়ে প্রথম রান্নাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত বাঙ্গালী জাতির একটি ঐতিহ্যবাহী ফসলভিত্তিক উৎসব।এটি প্রধানত বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের কৃষিজীবী সমাজে পালিত হয় এবং সাধারণত বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে (হেমন্তকালে) অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে কৃষকের ঘরে নতুন ধানের আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি নানা ধরনের পিঠা তৈরি, লোকসংগীত, এবং মাছের মেলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনও করা হয়।এ যেন বাঙ্গালী জাতির এক বৈচিত্র্য ময় মুহূর্ত।।