এস কে ইয়াছিন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মাতৃজগত পত্রিকা
শহরের ব্যস্ত সড়কের ভিড় ঠেলে ঢুকে পড়া মিরপুর ১০ নাম্বার আল বারাকা হোটেল এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সেই পরিচিত ঘর। চারপাশে কোলাহল, কিন্তু এক কোণে জমেছে এক ভিন্ন আবহ। কয়েকটি চায়ের কাপ, আড্ডার টেবিল আর সঙ্গী হয়ে উঠেছে সাংবাদিকতার নানা রঙিন গল্প, ভবিষ্যৎ ভাবনা আর অভিজ্ঞতার অনন্য বিনিময়।
এই আড্ডার কেন্দ্রে ছিলেন জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব খান সেলিম রহমান। তার পাশে বসেছিলেন জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সহ-বার্তা সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ পত্রিকার সহ-নির্বাহী সম্পাদক ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওয়ারেছ আহাম্মেদ ভূঁইয়া (তাপস)।
চায়ের ধোঁয়া উড়ে মিলিয়ে যাচ্ছিল আলোচনার উষ্ণতায়। কখনো হাসি-আনন্দে, কখনো গম্ভীর কথোপকথনে ভরে উঠছিল পরিবেশ। সাংবাদিকতার আজকের চ্যালেঞ্জ, নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব, নৈতিকতার প্রশ্ন থেকে শুরু করে গণমাধ্যমের আগামী দিনের রূপরেখা—সবই উঠে আসছিল আলাপচারিতায়।
খান সেলিম রহমান এক পর্যায়ে বললেন,
“সাংবাদিকতা কেবল একটি পেশা নয়, এটি এক মহান দায়িত্ব। আমাদের কলমই সমাজকে বদলে দিতে পারে—যদি আমরা সততা ও নিষ্ঠা ধরে রাখতে পারি।”
তার জবাবে তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠস্বর হয়ে ওয়ারেছ আহাম্মেদ ভূঁইয়া (তাপস) উল্লেখ করেন,
“এমন অনানুষ্ঠানিক আড্ডাই আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে গভীর করে, আবার পেশাগত পথ চলায় অনুপ্রেরণা যোগায়।”
সন্ধ্যা নামছিল ধীরে ধীরে, আর সেই সঙ্গে জমে উঠছিল আড্ডার আবহ। চারপাশের গ্রাহকরাও যেন কৌতূহলী চোখে তাকাচ্ছিলেন এই প্রাণবন্ত আলোচনার দিকে। মনে হচ্ছিল, এক কাপ চায়ের টেবিলেই যেন লেখা হচ্ছে সাংবাদিকতার নতুন ইতিহাস, নতুন স্বপ্নের খসড়া।
এমন সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আড্ডা শুধু সময় কাটানো নয়—বরং পেশাগত উন্নয়ন ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের সেতুবন্ধন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মতে, নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎকে আরও আলোকিত করবে।