শিরোনাম :
ভোলায় জলসিড়ি সাহিত্য আসরের চতুর্থ আড্ডা অনুষ্ঠিত । মনপুরায় জেলেকে মারধর, বিচার না পেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি কর্তৃক ৯০ বোতল স্কফ সিরাপ ও ০১টি মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ ০২ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি কর্তৃক ৭৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ বোতল দেশী চোলাই মদ সহ ২ জন গ্রেফতার। সাউথ এশিয়ান এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব ইউসুফ মেম্বার গলাচিপায় ৩৮ বছর পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার নবীনগরে নিরাপদ খাদ্য সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ কর্মশালা  ডিমলায় বন্যায় উদ্ধারের নৌকা রেসকিউ বোট, অযত্নে অবহেলায় অচল হয়ে পড়েছে চাটমোহরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত

ছবি তুইল্লেন না! সাংবাদিকতা এ্যাক্কালে ডুকাইয়া দিমু।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৬৩১ বার পঠিত

ছবি তুইল্লেন না! ছবি তোললে সাংবাদিকতা এ্যাক্কালে ইসে ডুকাইয়া দিমু। কথাগুলো বলেছেন ডা: একেএম মাহমুদ রাসেলের ড্রাইভার। ঝালকাঠির রাজাপুর হাসপাতালে তখন আহত এক রোগির মাথা সেলাই দিচ্ছিলেন ডাক্তারের ড্রাইভার সোহাগ। হঠাৎ উপস্থিত সাংবাদিকের চোখে দৃশ্যটি ধরা পড়লে দ্রুত ক্যামেরা চলে যায় ড্রাইবারের দিকে। তখন উত্তেজিত হয়ে সেলাই কাজে নিযুক্ত ড্রাইভার সোহাগ সাংবাদিককে এরুপ কটুক্তি করেন।

ডাঃ রাসেলের সামনেই সাংবাদিককে এরুপ হেনস্থা করা হয়। স্থানীয়রা জানান, ডাক্তার রাসেল নিজে উপস্থিত থেকে ড্রাইভার সোহাগকে নাকি কাটাছেড়া সেলাই দেয়া শিক্ষা দেন। আসলে ডাক্তারের কাজ কি ড্রাইভারের? তাহলে নীতি নৈতিকতা আর দায়িত্ববোধ থাকলো কোথায় ডাঃ রাসেলের!

রাজাপুর সরকারি হাসপাতালে রুগীদের চিকিৎসা দিয়ে সরকারি হাসপাতালের টাকা কালেকশন করে গাড়ীর ড্রাইভার সোহাগ।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে সরকার কর্তৃক ৭ জন উপ-সহকারী চিকিৎসক সেবাদানে নিয়োগকৃত থাকলেও তাদের দিয়ে জরুরী বিভাগের কাজ না করিয়ে ডাঃ রাসেল এর ক্যাডার ও গাড়ীর ড্রাইভার হাসপাতালে রোগীকে সেলাই দেয়া এবং ইচ্ছে মাফিক টাকা নেয়া হয়, যা ওপেন সিক্রেট। সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে বলে এই ছবি টবি তুইলেন না হেলে কিন্তুু ক্যামেরা ইসের মধ্যে দিয়া থুমু। এরুপ আচরণে স্থানীয় সাংবাদিক ও নাগরিক সংগঠন নেতৃবৃন্দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দীর্ঘদিনের।

সাংবাদিকের উপস্থিতিতেও ডাক্তার রাসেল ড্রাইভারের গালাগাল সমর্থন করে এবং তাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন।

অভিযোগ রয়েছে, ডাঃ রাসেলের বাড়ি রাজাপুরে হওয়ার সুবাধে তিনি ব্যাপক প্রভাব খাটিয়ে রোগীদের সাথে অশোভন আচরণ ড্রাইভার, পিয়ন,সুইপার,নাইটগার্ড নন-মেডিকেল লোক দিয়ে জরুরী বিভাগের চিকিৎসা দেয়া হয়। এরা সেলাই দিয়ে ডা: রাসেলের বাসায় রোগী পাঠিয়ে চিকিৎসা পত্র দেন। ফলে রোগীরা বাসায় গেলে লজ্জায় পরেও ভিজিট দিতে বাধ্য হন। অনেক সময় ডা: রাসেলকে দাড়িয়ে থেকেও ড্রাইভার পিয়ন দিয়ে চিকিৎসা করাতে দেখা গেছে।
প্রশ্ন হল রাজাপুর হাসপাতালে বেশ কয়েক জন এমবিবিএস ডাক্তার ও ৫/৭ জন ডিএমএফ মানে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকলেও তাদের দিয়ে জরুরী বিভাগের চিকিৎসা না দিয়ে কেন ড্রাইভার,পিয়ন,নাইটগার্ড, সুইপার দিয়ে জরুরী চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এদিকে এ ঘটনায় ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ রাজাপুর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com