সিনিয়র রিপোর্টার: প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সাল থেকেই ভূমিহীন আনচার আলী নিজ দখলীয় ভূমি রক্ষায় আইনি লড়াই সহ বন্দোবস্তের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে একেরপর এক অভিযোগ করে আসছিলেন। সর্বশেষ অধা শতক জমি বন্দোবস্ত পেলেও বন্দোবস্তকৃত জমি দখল করে রাতের আধারে ঘর নির্মান করার অভিযোগ উটেছে গোবিন্দগঞ্জ উচ্ছ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম নবীর বিরুদ্ধে। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন সময় ছাতক থানায় সাধারন ডায়রী সহ লিখিত অভিযোগও করে আসছিলেন আনচার আলীর স্ত্রী শিপা বেগম।
এসব অভিযোগ থেকে জানা যায় উপজেলার সিঙ্গুয়া মৌজার ১৫৬ দাগে আনচার আলীর দখলীয় একটি দোকান ভিট, দীর্ঘদিন যাবত দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন একই ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের সামছুল ইসলামের পুত্র ও গোবিন্দগঞ্জ মহুমুখী উচ্ছ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম নবী সহ কয়েকজন। এরই মধ্যে আনচার আলীর নামে ৩২ লিংক ভূমি বন্দোবস্ত হলে গত ৬ জুলাই সরকারী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আনচার আলীকে বন্দোবস্তকৃত ভূমি বুঝিয়ে দেন। তবে আনচার আলীর অভিযোগ তিনি উপস্থিত হয়ে ভূমির মেজারমেন্ট বিষয়ে আপত্তি করেছিলেন।
পরে ৯ জুলাই কাগজপত্র দেখে পুনরায় ভূমি বুঝানোর কথা থাকলেও ৮ জুলাই রাতের আধারে আনচার আলীর ভুমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মান করেছেন শিক্ষক গোলাম নবী ও তার লোকজন। এ বিষয়ে গত ২৩ জুলাই সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আনচার আলীর স্ত্রী শিপা বেগম। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,শিপা বেগমের স্বামী আনচার আলীর বন্দোবস্তকৃত ভূমি বিগত ৬ জুলাই তাদের অজান্তে সার্ভেয়ার সিমানা নির্ধারন করতে গিয়ে উত্তর দক্ষিনে ৮ ফুট ভূমি চিন্হিত করেন। সংবাদ পেয়ে আনছার আলী আপত্তি জানিয়ে উত্তর দক্ষীনে ১৬ ফুট ও পুর্ব পশ্চিমে ৮ ফুট ভূমির দাবী করেন। পরে সার্ভেয়ারের সাথে বন্দোবস্ত নতি না থাকার কারণ দেখিয়ে ৯ জুলাই চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়।
তবে নির্দারিত তারিখের পুর্বে একই ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর পুত্র সামছুল ইসলাম,মৃত নুর ইসলামের পুত্র আব্দুছালাম,ও সামছুল ইসলামের পুত্র স্কুল শিক্ষক গোলাম রাব্বানি ও সোহেল আহমদ ঐ ভূমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মান করে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এসংক্রান্ত ভিডিও ও কর্মকর্তাদের কথোপকথোন জেলা প্রশাসকের ওয়ার্থসাপে সেন্ট করেছেন। এছাড়া ভূমিহীন পরিবারকে জমি সমজাইয়া না দিয়ে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ফরামর্শ গ্রহনপূর্বক সামছুল ইসলাম ও আব্দুছালামের নামে ভূমি বন্দোবস্ত প্রস্তুত করা হয়েছে। যাহার নতি বর্তমানে এ্যাসিলেন্ট অফিসের হেফাজতে রয়েছে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। আনচার আলী দখলদারদের বাধা দিলে এসিল্যান্টের নির্দেশেই জমি দখল করে ঘর নির্মান করা হচ্ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। আনচার আলীর দাবী সুধুমাত্র আবেদন করেই, বন্দোবস্থ পাওয়ার আগে কৌশলগতভাবে জোরপূর্বক জমি দখল করে ঘর নির্মান করা হয়েছে। অতচ তিনি বন্দোবস্থ পেয়েও তার প্রাপ্প জমি বুঝে পাননি।
বরং বন্দবস্তকৃত জমির মাফ উত্তর দক্ষিন না দিয়ে, কৌশলগতভাবে পুর্ব পশ্চিম দেওয়া হয়েছে। তবে বন্দবস্তকৃত ৩২ লিংক জমির কাগজে মেজারমেন্ট বিষয়ে চৌহাদ্দা সম্বলিত কোনো বিষয় লক্ষ করা যায়নি। আনচার আলীর দাবী এসব কাগজপত্র সরকারী দপ্তরে রয়েছে তারা সেগুলা নিয়ে আসেন নি। সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ইসলাম উদ্দিন জানিয়েছেন সরকারি ভূমিতে আনচার আলী ও গোলাম নবীর একটি করে দোকান রয়েছে। আনচার আলীর নামে আধা শতক ভূমি বন্দবস্ত আছে।
এখানে মোট ভূমি ২ শতক, এর মধ্যে আনচার আলীর আধা শতক বাদে গোলাম নবী সহ আরো ৩ জন আবেদনকারী রয়েছেন।প্রত্যেককে তাদের নামে আধা শতক করে ভূমি বন্দবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ঘর নির্মানের বিষয়ে তার জানা নেই।