সিনিয়র রিপোর্টার: সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেছেন, উপজেলার আইনাকান্দি গ্রামের হারিছ আলীর পুত্র হেলাল আহমদের স্ত্রী মনতেহা বেগম। তিনি দুলারবাজার ইউনিয়নের বাদে-মুক্তারপুর গ্রামের আতাউর রহমানের কন্যা। এ বিষয়ে স্বামী হেলাল আহমদ সহ কয়েকটি ফেইসবুক আইডির বিরুদ্ধে সিলেটের সাইবার টাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা সুত্রে জানা,যায় মনতেহা বেগমের প্রথম স্বামী ২ ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে মৃত্যু বরন করলে বেসরকারী একটি চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ সহ সন্তানদের লেখাপড়ার খরছ চালিয়ে যাচ্ছিলেন মনতেহা বেগম। অফিসে যাওয়া আসার পথে মনতেহাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় হেলাল আহমদ, এতে পুর্বের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে মনতেহাকে বিয়ে করেন হেলাল আহমদ।
কিছুদিন পর স্ত্রীর নিকট তিন লক্ষ টাকা দ্বার চাইলে হেলাল আহমদকে দেড় লক্ষ টাকা দেন স্ত্রী মনতেহা বেগম। পরে আরও দেড় লক্ষ টাকা না দেওয়ায় হেলাল আহমদ তার পুর্বের স্ত্রীর সাথে মেলামেশা শুরু করেন এবং টাকা না দিলে মনতেহার সাথে সংসার না করারও হুমকী দেন। একপর্যায়ে মনতেহা বেগম সহ তার যুবতী মেয়ের ছবি দিয়ে ফেইসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করে পোষ্ট করতে থাকে হেলাল আহমদ। এসব বিষয়ে তাকে বাদা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি বরং টাকা না দিলে আপত্তিকর ছবি সহ পোষ্ট করার হুমকী দেওয়া হওয়েছে বলে জানিয়েছেন নারী।
এসব বিষয়ে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা ৭৪/২৩ দায়ের করেন মতেহা বেগম। মামলাটি আমলে নিয়ে ছাতক থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন মাননিয় সাইবার আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনতেহার আইনজীবী এডভোকেট সালেহ আহমদ চৌধুরী। এছাড়াও হেলাল আহমদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের পারিবারিক আদালতে পৃতক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনতেহা বেগম।
এসব এসব মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিহত হুমকী দিচ্ছে হেলাল আহমদ। এসব বিষয় নিশ্চিত করে হেলাল আহমদের বিরুদ্ধে মাদক সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মনতেহা বেগম। এছাড়াপ মামলা করার কারনে সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছেন বলেও জানান ঐ নারী।