সুনামগঞ্জের ছাতকে মহিলা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর এবার পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
মহিলা কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে শহরজুড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শুক্রবার পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলীকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন পৌরসভার অফিস সহায়ক দ্বীপ্ত বণিক। এ মামলায় আসামী করা হয়েছে কাকলীর স্বামী মাছুম আহমদ, ভাই নোমান ইমদাদ কানন ও কার্জন মিয়াকে। এছাড়া ২৫ জনকে করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আসামী।
এদিকে, মহিলা কাউন্সিলর কাকলীর বিরুদ্ধে থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়েরের চারদিন পর ৩১ আগস্ট সুনামগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি দায়ের করেন পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলী। এ বিষয়ে কাউন্সিলর কাকলী জানান, থানায় অভিযোগ গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, পৌরসভায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ সত্য ঘটনাটিকে আড়াল করতেই আমার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ওসি শেখ মো. নাজিম উদ্দিন থানায় দায়ের করা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তপূর্বক আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেয়রের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরী মামলার বিষয়টি তিনি শুনেছেন বলে জানান।