আশীষ বিশ্বাস
সিনিয়ার স্টাফ রিপোর্টার
নীলফামারীর জলঢাকায় নববধূর আত্মহত্যার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ ফেরত দেওয়ার দাবিতে নিহতের স্বজনরা সড়ক অবরোধ করলে ঘন্টাব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে টাকা দাবির অভিযোগও ওঠে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনা এলাকার দলবাড়ীপাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নিজ শয়নকক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন জেসমিন আক্তার রুমি (২০)। তিনি একই এলাকার রাহিম ইসলামের স্ত্রী। খবর পেয়ে জলঢাকা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
পরদিন বুধবার সকাল ১০টার দিকে নিহত রুমির পরিবার ও স্বজনরা থানায় গিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ ফেরত চান। তবে পুলিশ এতে সম্মতি না দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী এ অবরোধে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। পরে শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন স্বজনরা।
অবরোধকালে নিহতের বাবা অভিযোগ করে বলেন, “আমার মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো দাবি-দাওয়া নেই। তবে আল আমিন নামের একজন স্থানীয় সাংবাদিক থানায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ উদ্ধারের কথা বলে আমার কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেছেন।”
এদিকে অভিযুক্ত সাংবাদিক আল আমিন জানান, জেসমিন তার নিকট আত্মীয়। তিনি দাবি করেন, “আমি শুধু দুই পক্ষকে সমঝোতায় আনার চেষ্টা করেছি। টাকা চাওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।”
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “পরিবারের অযৌক্তিক দাবি মানা সম্ভব হয়নি। তারা থানায় মব তৈরির চেষ্টা করেছিল এবং কিছুক্ষণের জন্য সড়ক অবরোধও করে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
Leave a Reply