জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা রোড পারমিট ছাড়াই বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে শত শত ট্রাক্টর। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে অনুমোদনহীন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই অদক্ষ ট্রাক্টরের চালকদের চলাচলে অতিষ্ঠ জনসাধারণ। প্রতিনিয়তই দূর্ঘটনা হচ্ছে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বেপরোয়াভাবে চলাচলের কারণে যে কোনো সময় ঝরতে পারে প্রাণ, আবারো ঝড়েছেও অনেক প্রাণ । এ পর্যন্ত ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে অসংখ্য মানুষ বাচ্চাও নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে অনেকে। এসব ট্রাক্টরের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে অকালে ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। কাউকে আবার সারা জীবনের মত পঙ্গুত্ব বরন করতে হচ্ছে।
অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া গতির ট্রাক্টর প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে আইনের তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত অবাধে চলাচল করছে। কিন্তু চোখের সামনে অবৈধ এই যানের অবাধ চলাচল দেখেও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। ফলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর জনমনের মধ্যে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কগুলোতে ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে আতংকে রয়েছে পথচারীসহ স্থানীয় বাসীন্দারা।এমনকি গ্রামীণ সড়কগুলো ক্ষত-বিক্ষত হয়ে খানা-খন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সর্বত্র পরিবেশ দূষণ ঘটছে, রাস্তার পাশের বাড়ী-ঘর ধুলোয় ধুসর, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, অদক্ষ চালক ও বৈধ কোনো কাগজপত্র (রোডপারমিট) ছাড়াই ট্রাক্টরগুলো সড়কে চলাচলের ফলে প্রায়ই নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। বেপরোয়া গতির এসব ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে বিগত কয়েক বছরে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
তারা আরো জানান, ট্রাক্টর চলাচলে সৃষ্ট ধুলাবলির কারণে চরম অসুবিধায় চলা ফেরা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে খোলা অবস্থায় বালু বহনের ফলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে জানান তারা।(চলমান চলবে)
Leave a Reply