মো: মাজেদুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি,জামালপুর
জামালপুর - শেরপুর সহ আশেপাশের জেলাগুলা থেকে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্যরা বিভিন্ন লোকজনের মোটরসাইকেল চুরি করছিল বলে র্যাব-১৪ এর নিকট গোয়েন্দা তথ্য ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে মোটরসাইকেল চোর-চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের নিমিত্তে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয় এবং চোরদেরকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব বরাবরই নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, অপহরণ মামলা'র আসামি গ্রেফতার, জিম্মি উদ্ধার, ভিকটিম উদ্ধার সহ চাঞ্চল্যকর মামলা'র আসামি গ্রেপ্তার, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ও মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিপিসি-১, র্যাব-১৪, জামালপুর এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ২১ আগস্ট রাত ০১.৩০ ঘটিকায় জামালপুর জেলার সদর থানাধীন বেলটিয়া জঙ্গলপাড়া এলাকা হতে রেজিঃ বিহীন ০১টি নীল রংয়ের ডিসকভার মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। পরবর্তীতে একাধারে অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ২২ আগষ্ট ০০.৩০ ঘটিকার সময় জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানাধীন পড়াগুড়ি এলাকা হতে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ আসাদুল ইসলাম (২৫), পিতা-মৃত আনার মিয়া পাগলা, সাং-মহিরামকুল, থানা-মেলান্দহ, জেলা-জামালপুর কে গ্রেফতারসহ তার নিজ হেফাজত হতে আরো একটি রেজিঃ বিহীন চোরাই হিরো মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসাদুল'কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে দীর্ঘদিন যাবৎ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যরাসহ আন্তঃজেলার বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেল চুরি করে ভিন্ন জেলায় বিক্রয় করে থাকেন। এই চোরচক্রের সদস্যরা জামালপুর সদর, মেলান্দহ সহ অন্যান্য বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া করে থাকে। এক অঞ্চলের একটি মোটরসাইকেল চুরি করে সেখান থেকে তারা অন্য জায়গায় যায় এবং সেই জায়গার ভাড়া বাসায় অবস্থান করে। তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাঝারি মানের বা তুলনামূলকভাবে কম দামি মোটরসাইকেল গুলো চুরি করে কারণ সেগুলোতে প্রযুক্তিগত ট্রাকিং ব্যবস্থা থাকে না বলে তারা মনে করে। একটি মোটরসাইকেল চুরির পরে তারা ওই দিনই বা যত দ্রুত সম্ভব মোটরসাইকেলটি কম দামে বিক্রি করে দেয়। খবর নিয়ে আরো জানা যায় যে গ্রেফতারকৃত আসাদুল অত্র চোর চক্রের মূল হোতা হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানায় হস্তান্তর ও মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।