মোঃ শাকিল রেজা সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
‘জীবিকার চেয়ে জীবন বড়,শিশুর টিকা নিশ্চিত করো’ এই শ্লোগানে ঝিনাইদহে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে গণমাধ্যম কর্মীদের অংশ গ্রহনে এক কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউনিসেফ,গণযোগাযোগ অধিদপ্তর,তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় কনসালটেশন ওয়ার্কশপের আয়োজন করে ঝিনাইদহ জেলা তথ্য অফিস।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহের ইসলামিক ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কনসালটেশন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিথিলা ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রিজাউল করিম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ উজ্জ্বল হোসেন এবং ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ওলিয়ার রহমান।
কনসালটেশন ওয়ার্কশপে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর,সাধারণ সম্পাদক মাজেদ রেজা বাধন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল, নির্বাহী সদস্য আসিফ ইকবাল মাখন, রাজিব হাসান প্রমূখ।
ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি বলেন টাইফয়েড জ্বর একটি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে এই রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। টাইফয়েড প্রতিরোধে টিসিভি টিকা খুবই নিরাপদ ও কার্যকরী।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ঝিনাইদহে (৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী) প্রায় পাঁচ লক্ষ শিশুকে এই টিকা প্রদান করা হবে। তিনি গুজব পরিহার করে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন এই ক্যাম্পেইন সফল করতে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। বক্তাগণ বলেন, শিশুদের রেজিস্ট্রেশন কাজে বেগ পেতে হচ্ছে,অনেক অবিভাবক আগ্রহী নয় অথচ এই টিকা ব্যক্তিগতভাবে দিতে গেলে প্রায় দশ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। টাইফয়েড টিকা ছাড়া কোন কর্মীকে বিদেশ যাওয়া কিংবা কর্মসংস্থান সম্ভব নয়। বক্তাগণ বলেন,বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় এর মধ্যে প্রায় এক লক্ষ ১০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বক্তাগণ বলেন,২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রায় চার লক্ষ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং ৮ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করে যার মধ্যে ৬৮ শতাংশই শিশু।